আয়ুবেদিক শাস্ত্রে শিউলীর থেকে শিউলীর পাতার ভেষজগুণ বেশী করে
উল্লেখ্য করা আছে ভারতীয় বনৌষধী, নামক গ্রন্থে উল্লেখ্য আছে বাতরোগে শিউলী পাতার রস
খুব উপকারী।আর মানুষের সায়েটিকা বাতে যখন ভামরুলের হুল ফোটানোর মত যন্ত্রনা আসে তাকে
দমন করতে পারে শিউলী।সায়েটিকা বাতে ৮-১০ টি শিউলী পাতা ভালভাবে থোক করে এক কাপ থাকতে
নামিয়ে ছাকতে হবে।এরপর সকাল বিকাল দু’বেলা কয়েকদিন করে খেলে যন্ত্রনা উপশম হবে।
মেদ রোগঃ
মেদ কমাতে বৈদরা শিউলী ডালের চূর্ণ দেড় গ্রাম মাত্রায় সকালে বিকালে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।কৃমিঃ
শিউলী পাতার রস সকালে বিকালে দু’বেলা গরম পানি দিয়ে খেলে কেচোর মত কৃমি পড়ে যায়।গুড়ো কৃমির উপদ্রব ও কমে যায়।
গলা বসাঃ গলা বসার ক্ষেত্রে শিউলী পাতার রস বেশ উপকারী।শ্লেষার
দোষে অনেকের গলায় আওয়াজ বসে যায়।এ ক্ষেত্রে শিউলী পাতার রস সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া
যায়।
জ্বালাঃ
কেউ কেউ দিনের কোন সময় জ্বালা অনুভব করেন তবে শিউলী পাতার রস সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।তবে দীর্ঘদিন খাবার প্রয়োজন হলে চালের চূর্ণর সাথে ১গ্রাম মাত্রায় দু’বেলা খাওয়া ভালো।মূর্ছা রোগঃ
মূর্ছা রোগে শিউলী পাতার রস ২ চামচ মাত্রায় অল্প গর করে দু’বেলা খেতে হবে।তবে মূর্ছা রোগের শুরুর দিকে খেলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।খাদ্যে বিষক্রিয়াঃ
খাদ্যে বিষক্রিয়া দরুন রোগী অত্যাধিক বমি করে রোগী দূর্বল হয়ে পড়লে অল্প গরম জলে শিউলীর রস ২ বেলা খেলে দূর্বলতা কেটে যায়।
শিউলী পাতার রস খুবুই তিতা তিতা খেতে অভ্যস্ত ব্যক্তি ছাড়া
অন্য লোকেদের এই রস খাওয়া খুবুই কঠিন।তবে শিউলীর তিতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা নানা রোগ
মুক্তির সম্ভবনা আপনাকে স্বস্তি দেবে।যা পরিমান মত খেলে উপকার ছাড়া অপকার হওয়ার আশংকা
থাকে না।তাই এই তিতা শিউলী পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।নিজেকে সুস্থ্য ও সবল
রখুন।



No comments:
Post a Comment