Tuesday, April 19, 2016

           

                          তেলাকচুর গুণাগুণ

তেলাকচু দেশের প্রায়ই সব অঞ্চলে বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে বন জঙ্গলে জন্মায়।এবং এটা বংশবিস্তার করে।সাধারণত চৈত্র বৈশাখ মাসে তেলাকচু রোপন করতে হয়।পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে।অবহেলিত এ লতা জাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী।

ডায়াবেটিসঃ 

ডায়াবেটিস হলে তেলাকচুর কান্ড সমেতপাতা ছেঁচে রস তৈরী করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকাল খেতে হবে।তেলাকচুর পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।

জন্ডিস হলে তেলাকচুঃ 

জন্ডিস হলে তেলাকচুর মূল ছেঁচে রস তৈরী করে প্রতিদিন সকালে আধাঁকাপ পরিমাণ খেলে উপশম পাওয়া যাবে।

শ্বাসকষ্ট হলে তেলাকচুঃ 

শ্বাসকষ্ট হলে তেলাকচুর মূল ও পাতার রস হালকা গরমকরে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৭ দিন সকালে ও বিকালে নিওমিত খতে হবে।উপশম পাওয়া যাবে।

স্তনে দুধ স্বল্পতাঃ 


সন্তান প্রসবের পর অনেকর স্তনে দুধ আসেনা।বা শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যায়।এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকচু ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে তেলাকচু ফলের রস হালকা করে মধুর সাথে মিশিয়ে তেলাকচুর পাতা একটু তিতে হওয়ার পরিমান মত সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেতে হবে তাতে উপকার পাওয়া যাবে।

ফোঁড়া ব্রনঃ 

এ সমস্যায় তেলাকচুর পাতার রস ব্রোনে বা ফোঁড়ায় সকাল বিকাল ব্যবহার করে হবে।

আমাশয় প্রতিরোধে তেলাকচুঃ 

প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকচুর মূল ও পাতার রস ৩-৪ চামচ ৭ দিন কালে ও বিকালে খেতে হবে।

অরুচিতে তেলাকচুঃ 

সর্দিতে মুখ অরুচি হলে তেলাকচুর পাতা একটু সেদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে।খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।



                     “সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment