Tuesday, April 19, 2016

                   

                      জামের
পুষ্টিগুণ

মধু মাসের অন্য ফল জামএর বর্ণ, স্বাদ আকার সকলের প্রিয়তাইতো কবি লিখেছেন-

                     পাকা জামের মধুর রসে রঙ্গিন করি মুখ

                                                  অন্যসব মৌসুমে ফলের তুলনায় জামের স্থায়ীকাল কম হলেও এটি পুষ্টিগুণে অতুলনীয়।জামে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সাইলেট, গ্লুকোজ, ডেক্রটোজ ও ফুকটোজ সহ অসংখ্য উপাদান।তাই নিম্নে আমরা জানব জামের উপকারিতা সম্পর্কে।

গ্লু-কোজঃ 

গ্লু-কোজ মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।এটি মানব দেহের কাজ করার শক্তি যোগায়।

শর্করাঃ 

জাম ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রন করে শরীর সুস্থ্য রাখে।স্যালিসাইলেট নামক উপাদানটি মানবদেহের ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করে।জাম অতুলনীয় একটা ফল।

কোলস্টোরেলঃ 

জাম রক্তর কোলস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখে।এছাড়া জাম শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।

আ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ

আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরে ক্যান্সর প্রতিরোধে সহায়তাকরে।

ভিটামিন সি এঃ 


ভিটামিন সি ঠান্ডা, কাশি ও ট্রনসিল প্রতিরোধ করে এবং ভিটামিন এ চোখর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
চুল, ত্বক ও দাঁতঃ জাম চুল পাকা বন্ধ করে এবং ত্বক ও দাঁত ভালো রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ 

জামে বিদ্যমান ফাইবার বা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।ক্ষুধা কম হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্য থাকলে জামের পেস্ট সমপরিমাণ মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

বিচের গুণাগুণঃ 

জামের বিচি ও বেশ উপকারী।এতে রয়েছে জাম্বলিন নামে গ্লু-কোসাইট স্টার্চকে শর্করায় রুপান্তরের হাত থেকে বাঁচায়।এতে মধুমেহ নিয়ন্ত্রিত হয়।জামের বিচি চূর্ণ এবং কাঁচা জামের পেস্ট পেটের জন্য খুব উপকারী।এতে পেটের রোগ সেরে যায়।খিদেও বাড়ে গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ভিষণ ফলদায়ক।জাম সত্যিই একটা অতুলনীয় ফল।

ছালের উপকারিতাঃ 

জাম গাছের ছাল পিষে পেষ্ট তৈরী করে পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সতর্কতাঃ 

খালি পেটে জাম খাওয়া যাবে না।জাম খাওয়ার পর দুধ খাওয়া যাবে না।প্রত্যেকের উচিৎ জামের সতর্কতা মেনে চলা।



                “সমাপ্ত


                       

No comments:

Post a Comment