কলমী শাকের অতুলনীয় গুণ
অর্ধজলজ লতা কলমী শাকের বৈজ্ঞনিক নাম আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক।পানিতে
বা স্যাঁতসেঁতে ভূমিতে এই শাকের প্রজনন খুবুই ভালো হয়।পুষ্টিগুণে কলমী শাক অতুলনীয়।
উপকারিতাঃ
কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করতে সাহায্য করে।তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিৎ।কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় মানব দেহের দুর্বলতা খুব দ্রুত সরিয়ে তুলতে সাহায্য করে।কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শক্তি থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।সারাদেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবারহ ঠিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কলমি।রিতু স্রাবের সমস্যা দূরীকরণে কলমি শাক উপকারী ভূমিকা পালন করে।যাদের মাঝে মাঝে বিনা কারণে মাথা ব্যাথা করার সমস্যা আছে তারা কলমি শাক খেলে উপকার পাবেন।অনিদ্র দূরীকরণে ও কলমি শাক খেতে পারেন।মাথার খুশকি দূর করতেও কলমি শাক কার্যকারী ভূমিকা রাখে।জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ানো যেতে পারে।শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাওয়ার জন্য কলমি শাক সাহায্য করে।নিয়মিত কলমি শাক খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।



No comments:
Post a Comment