তেজপাতার ব্যবহার ও গুণাগুণ
তেজপাতা মাঝারী ধরণের সুগন্ধ বিশিষ্ট চির সবুজ বৃক্ষ।এ গাছ
১৫-১৬ মি. পর্যন্ত উঁচু হয়।সিলেটের পাহাড়ী এলাকায় বনাঞ্চলে তেজপাতা প্রাকৃতিকভাবে জন্মে।বর্তমানে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাষ হচ্ছে।তেজপাতার রয়েছে দুর্লভ কিছু ঔষধী গুণ।
ঔষধীগুণ তেজপাতাঃ
সুগন্ধী এ মসলার ঔষধী গুণাবলি অনেক সস্যা সমাধান করবে।যারা গুরুপাক খাদ্য হজম করতে পারে না সহজে তাদের জন্য তেজপাতা গাছের রস খুবুই কার্যকর ওষুধ।তেজপাতার রস কোলেস্টরাল কমাতে সাহায্য করে।এ রস হৃদযন্ত্রের পেশীগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।তেজপাতার রস শরীরে রক্ত সংবহন্ত্রকে সংবেদনশীল করে তোলে।শরীরে রক্ত পরিবহন মসৃণ করে তোলে।ঠান্ডাজনিত বা উচ্চভাষণজনিত স্বরভেঙ্গে ৫-৭ গ্রাম তেজাতা থেতো করে ৩-৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১কাপ থকতে নামিয়ে ছেঁকে আধঘন্টা পরপর একটু একটু করে খেলে স্বরভাঙ্গাটা চলে যাবে।রক্ত প্রসাবে ৫৭ গ্রামতেজপাতা থেতো করে ২-৩ কাপ গরম পানিতে ২ঘন্টা ভিজিয়ে ভিজিয়ে রেখে ১ঘন্টা পরপর একটু একটু করে খেলে উপকার হয়।একদিনে উপশম না হলে এটি ২-৩ দিন খেতে হবে।২টি তেজপাতা গরম পানিতে ভিজিয়ে একটু থেতো করে সিকিকাপ পানিতে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার নেকড়া দিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি চোখে দিলে চোখ উঠা সেরে যাবে।তেজপাতা চন্দনের মত বেটে গায়ে মাখলে গায়ের দূর্গন্ধ সেরে যায়।ঘামাচি হলে তেজপাতা বেটে গাঁয়ে মেখে আধঘন্টা পর গোসল করলে ঘামাচি সেরে যায়।
তেজপাতার চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষত সেরে যায়।তেজপাতা
সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে অরুচি চলে যায়।





















