Friday, April 22, 2016

       

                            তেজপাতার ব্যবহার গুণাগুণ

তেজপাতা মাঝারী ধরণের সুগন্ধ বিশিষ্ট চির সবুজ বৃক্ষ।এ গাছ ১৫-১৬ মি. পর্যন্ত উঁচু হয়।সিলেটের পাহাড়ী এলাকায় বনাঞ্চলে তেজপাতা প্রাকৃতিকভাবে জন্মে।বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাষ হচ্ছে।তেজপাতার রয়েছে দুর্লভ কিছু ঔষধী গুণ।

ঔষধীগুণ তেজপাতাঃ 

সুগন্ধী এ মসলার ঔষধী গুণাবলি অনেক সস্যা সমাধান করবে।যারা গুরুপাক খাদ্য হজম করতে পারে না সহজে তাদের জন্য তেজপাতা গাছের রস খুবুই কার্যকর ওষুধ।তেজপাতার রস কোলেস্টরাল কমাতে সাহায্য করে।এ রস হৃদযন্ত্রের পেশীগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।তেজপাতার রস শরীরে রক্ত সংবহন্ত্রকে সংবেদনশীল করে তোলে।শরীরে রক্ত পরিবহন মসৃণ করে তোলে।ঠান্ডাজনিত বা উচ্চভাষণজনিত স্বরভেঙ্গে ৫-৭ গ্রাম তেজাতা থেতো করে ৩-৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১কাপ থকতে নামিয়ে ছেঁকে আধঘন্টা পরপর একটু একটু করে খেলে স্বরভাঙ্গাটা চলে যাবে।



রক্ত প্রসাবে ৫৭ গ্রামতেজপাতা থেতো করে ২-৩ কাপ গরম পানিতে ২ঘন্টা ভিজিয়ে ভিজিয়ে রেখে ১ঘন্টা পরপর একটু একটু করে খেলে উপকার হয়।একদিনে উপশম না হলে এটি ২-৩ দিন খেতে হবে।২টি তেজপাতা গরম পানিতে ভিজিয়ে একটু থেতো করে সিকিকাপ পানিতে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার নেকড়া দিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি চোখে দিলে চোখ উঠা সেরে যাবে।তেজপাতা চন্দনের মত বেটে গায়ে মাখলে গায়ের দূর্গন্ধ সেরে যায়।ঘামাচি হলে তেজপাতা বেটে গাঁয়ে মেখে আধঘন্টা পর গোসল করলে ঘামাচি সেরে যায়।
তেজপাতার চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষত সেরে যায়।তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে অরুচি চলে যায়।



                সমাপ্ত    

     জবা ফুলের উপকারীতা    

আমাদের অনেকর প্রিয় ১টি ফুল জবা।এই ঝোপ জাতীয় গাছ সাধরণত সাত-আট ফুট উচ্চতায় হয়ে থাকে।জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতির পঞ্চমুখি ও থোকা আকারের হয়ে থাকে।

ঔষধি গুণাগুণঃ 

জবা ফুলের নানা ঔষধি গুণ আমরা জানব।
হঠাৎ কোন কুখাদ্য খাওয়া হয়ে গেলে যেটা খেতে অভ্যস্ত নয় আবার অজান্তে মাছি, চুল অথবা এ ধরণের কোন জিনিস পেটে গিয়েছে এর পরিণতিতে বমির উদ্রেগ হয়, কিন্তু হচ্ছে না এক্ষেত্রে ৪/৪ বা ৫টি জবা ফুল নিয়ে বোঁটার সংগে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে এই অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণ মত দিয়ে চটকে সরবত দিনে ২/১ বার খেলে বমি হয়ে পেট থেকে ওগুলি সব বের হয়ে যাবে।

ঘন ঘন প্রসাবঃ 

যারা প্রচুর পরিমাণ পানি পান করে আবার ঘন ঘন প্রসাব করে অথচ ডায়াবেটিস রোগী নয় এক্ষেত্রে জব গাছের ছালের রস ১কাপ পানি সাথে পরিমাণ মত চিনিসহ মিশিয়ে ৭/৮ দিন খেলে পকার পাওয়া যায়।

টাক পোকা রোগঃ 

চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাশে কিছু জায়গা চুল উঠে ওখানে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে চুল উঠে যাবে।এক দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন যে কোন সময় লাগাতে হবে এবং দুই এক ঘন্টা রাখতে হবে।অথবা

চোখ ওঠাঃ 

চোখের কোনে ক্ষত হয়ে পুঁজ পড়েছে।সেক্ষেত্রে জবা ফুল বেটে চোখের ভিতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায় গোল করে লগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।দিনের যে কোন সময় ১/২টা ফুল বেটে ৭/৮ দিন লাগাতে হবে এবং ১ ঘন্টা রাখতে হবে।

হাতের তালুতে চামড়া ওঠাঃ 

শীতকালে হাতের তালুতে চামড়া উঠে খসখসে হয়ে গেলে জবা ফুল তালুতে মাখলে খুব উপকার পাওয়া যায়।দিনে ২/৩ বার দুই একটা ফুল হাতের মধ্যে ডলে ডলে লাগাতে হবে।তালুত লাগিয়ে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করা যাবে।যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হবে।

               “সমাপ্ত


      


Wednesday, April 20, 2016

   


                

               শিউলী পাতার গুণাগুণ

 আয়ুবেদিক শাস্ত্রে শিউলীর থেকে শিউলীর পাতার ভেষজগুণ বেশী করে উল্লেখ্য করা আছে ভারতীয় বনৌষধী, নামক গ্রন্থে উল্লেখ্য আছে বাতরোগে শিউলী পাতার রস খুব উপকারী।আর মানুষের সায়েটিকা বাতে যখন ভামরুলের হুল ফোটানোর মত যন্ত্রনা আসে তাকে দমন করতে পারে শিউলী।সায়েটিকা বাতে ৮-১০ টি শিউলী পাতা ভালভাবে থোক করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছাকতে হবে।এরপর সকাল বিকাল দু’বেলা কয়েকদিন করে খেলে যন্ত্রনা উপশম হবে।

মেদ রোগঃ 

মেদ কমাতে বৈদরা শিউলী ডালের চূর্ণ দেড় গ্রাম মাত্রায় সকালে বিকালে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কৃমিঃ 

শিউলী পাতার রস সকালে বিকালে দু’বেলা গরম পানি দিয়ে খেলে কেচোর মত কৃমি পড়ে যায়।গুড়ো কৃমির উপদ্রব ও কমে যায়।
গলা বসাঃ গলা বসার ক্ষেত্রে শিউলী পাতার রস বেশ উপকারী।শ্লেষার দোষে অনেকের গলায় আওয়াজ বসে যায়।এ ক্ষেত্রে শিউলী পাতার রস সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যায়।

জ্বালাঃ 

কেউ কেউ দিনের কোন সময় জ্বালা অনুভব করেন তবে শিউলী পাতার রস সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।তবে দীর্ঘদিন খাবার প্রয়োজন হলে চালের চূর্ণর সাথে ১গ্রাম মাত্রায় দু’বেলা খাওয়া ভালো।

মূর্ছা রোগঃ 

মূর্ছা রোগে শিউলী পাতার রস ২ চামচ মাত্রায় অল্প গর করে দু’বেলা খেতে হবে।তবে মূর্ছা রোগের শুরুর দিকে খেলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

খাদ্যে বিষক্রিয়াঃ 

খাদ্যে বিষক্রিয়া দরুন রোগী অত্যাধিক বমি করে রোগী দূর্বল হয়ে পড়লে অল্প গরম জলে শিউলীর রস ২ বেলা খেলে দূর্বলতা কেটে যায়।

শিউলী পাতার রস খুবুই তিতা তিতা খেতে অভ্যস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য লোকেদের এই রস খাওয়া খুবুই কঠিন।তবে শিউলীর তিতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা নানা রোগ মুক্তির সম্ভবনা আপনাকে স্বস্তি দেবে।যা পরিমান মত খেলে উপকার ছাড়া অপকার হওয়ার আশংকা থাকে না।তাই এই তিতা শিউলী পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।নিজেকে সুস্থ্য ও সবল রখুন।



               সমাপ্ত”          

             শাপলা ফুলের ঔষধী গুণাগুণ

বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।কাগজের ন্যায় হালকা এ ফুলের পাতা গুলোর আকার ১৫ থেকে ২৬ সেমি. এবং এদের ব্যাপ্তি প্রায় ০.৯ থেকে ১.৪ মিটার।ফুলগুলো যখন পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হয় তখন এই ব্যাস প্রায় ১৫ সেমি হয়।এ ফুলের রয়েছে অসাধারণ ওষধী গুণাগুণ।

ঔষধী গুণাগুণঃ 

শাপলার ফুল মানব দেহের স্নিগ্ধ কারক, পিত্ত প্রশমক, হৃদযন্ত্রের শক্তিকারক ও পিপাসা নিবারক ইত্যাদি।
শাপলা ফুল কার্যকর ভূমিকা রাখে।তাছাড়া এটি প্রসাবের জ্বালা পোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপায় উপকারী।প্রসাবের জ্বালাপোড়া আমাশয় পিত্তাধিক্য রোগে শাপলা ফুলের শুকনো অংশ ১০-১৫ গ্রাম ৫ গ্রাম ধনিয়া আধা চূর্ণ করে দুই কাপ পানিতে মিশিয়ে জাল করে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মতো চিনিসহ দিনে ২ বার ১৫-২০ দিন খেলে উপকার হবে।হৃদযন্ত্রের দূর্বলতায় ও হৃদকম্পে রোগের জন্য শাপলা ফুল ১০ গ্রাম সাথে ৫ গ্রাম গোলাপ ফুল মিশিয়ে ২ কাপ পানিতে জ্বাল করে ছেঁকে নয়ে য়োজন মত চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার এভাবে ১ মাস খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।ভারতে আম্বাল নামের আয়ুর্বেদিক শাপলা ঔষধী গাছ হিসাবে ব্যবহার করেন।এই ঔষুধ অপরিপাকজনিত রোগের পথ্য হিসাবে কাজ করে।গবেষণায় পাওয়া গেছে এই উদ্ভিদে ডায়াবেটিস রোগের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধী গুণাগুণ রয়েছে।এই উদ্ভিদ পানি থেকে তুলে রৌদ্রে শুকিয়ে গবাদি পশুর খাদ্য হিাবে ব্যবহার করা যায়।শাপলার নাল বা লতা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী একটি সবজী।


             “সমাপ্ত

            গ্যাস বা অম্ল এড়ানোর উপায়

গ্যাস্টিক এখন আমাদের কাছে অতি পরিচিত সমস্যা।কেউ নিয়মিত আবার কেউ বা মাঝে মধ্যে গ্যাস্টিক এর সমস্যা ভোগেন।এই সমস্যা কেন হয় এবং খাবারপর গ্যাস বা অম্বলকে কীভাবে এড়ানো যায়, জেনে নিই তার কিছু সহজ উপায়।

তিন বেলার খাবার বার খেতে হবেঃ 

তিন বারের খাবার ৬ বার খেতে হবে।তেলে ভাজা খাবার অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খেতে হবে।আমাদের খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ অল্প পরিমাণ মাংশ সবজী আলু ইত্যাদি।এছাড়া খালী পেটে ফলের রস বা টক জাতীয় খাবার একে বারেই খাওয়া যাবে না।

খাবার উপভোগঃ 

পরিমানে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে।দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিৎ নয়।কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে।খাবার পর একটু হাটলে খাবার হজম সহজে হয়ে যায় এবং মলত্যাগে সহায়তা করে।হালকা চা পান করা যেতে পারে।তবে দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিৎ যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।কফি বা অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম পান করাটাই ভালো।তবে শুধু খাবার নয় জল পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাকঃ 

খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশী টাইট করে বাঁধা ঠিক নয়।টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়।যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে।কাজেই খাবারের সময় একটু আরামদায়ক ঢিলে পোশাকপড়তে হবে।

নিয়মিত হাটা চলা করাঃ 

হাঁটা চলার কোন বিকল্প নেই।অতিরিক্ত ওজনর কারণে পেটে চাপ পড়ে।ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করলে হালকা থাকে অন্ত্র ও থাকে সক্রিয় আর গ্যাস ও খুবুই কম হয়।


                     “সমাপ্ত

Tuesday, April 19, 2016

 
      সকালে
খালী পেটে কোন ফল কেন খাবেন???

আমরা এ কথা জানি যে সকালে খালী পেট ফল খাওয়া একদম ভালো নয়।কথাটা মোটেই ঠিক নয়।খালী পেটে ফল খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায়।বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে আগ্রহী তাদের জন্য তো এটা দারুন কাজ করে।তবে হ্যাঁ, সব রকম ফল কিন্তু খাওয়া চলবে না।
কেমন ভাবে কোন ফল খেতে হবেঃ টক জাতীয় ফল সকালে খালী পেটে কোন মতেই খাওয়া চলবে না।কেন না এটা এসিডিটির সমস্যা হবে।সকালে খেতে হবে এমন ফল যেগুলোতে আছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার।সকালে খাবারের জন্য আমরা বেছে নিতে পারি একদম সহজলভ্য কিছু ফল।যেমন কলা, আপেল, পাকা পেঁপে, মিষ্টি বাঙ্গী।শুকনো ফল যেমন কিসমিস ডুমুর ও নানান রকমের বেরী জাতীয় ফল।খেয়াল রাখতে হবে সকালে খালি পেটে টক ফল খাওয়া যাবে না।সকালে ফল খেতে চাইলে দুটি পদ্ধতি আছে।প্রথমত দিন শুরু করা যেতে পারে এক গ্লাস হালকা গরমপানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করা।তারপর ১০ মিনিট পর টক ফল বাদে যে কোন ফল খাওয়া যেতে পারে।কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বর্জন করে।সকালের নাস্তা আমরা করতে পারি ফল ও প্রোটিন দিয়ে।যেমন- ১টি ডিম সেদ্ধ, ১টি কলা ও ১ গ্লাস দুধ হতে পারে আমাদের জন্য দারুন ব্রেকফাস্ট।এছাড়াও দুধের সাথে নানা নাস্তা বানাতে পারি ফল দিয়ে।কিংবা প্যানকেক তৈরী করতে পারি আমাদের পছন্দের ফল দিয়ে।দুধের সাথে ফল মিশিয়ে তৈরী করতে পারি নানা রকম মিল্কশেক।





                 “সমাপ্ত

     
          মাত্র
১৫ মিনিটে দূর করুন ফরমালিন

শাকসবজি, ফলমূল, কিংবা মাছ যেকোন কিছু কিনতে গেলেই বাই যখন আতংকে তখন একটু কষ্ট করলেই থাকা যেতে পারে নিশ্চিন্তে।হাতের কাছে থাকে যদি থাকে ভিনেগার আর রান্না বসানোর আগে মাত্র ১৫ মিনিট সময়।তাহলেই আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন ফরমালিনসহ যে কোন ক্ষতির কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য থাকে।
পদ্ধতিঃ ১লিটার পানিতে ১কাপ ভিনেগার মিশিয়ে শাকসবজি, ফলমূল কিংবা মাছ ১৫ মিনিট রাখুন এরপর ধুয়ে নিন ভালো করে।ব্যাস….সব খাবার এখন ফরমালিনমুক্ত।যে কোন রাসায়নিক বিষাক্ত থেকে।এ পদ্ধতির মাইন্ডস, কম সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবদ্ধে উল্লেখ করেছেন।ভিনেগার একটি শক্তিশালী এসিড জাতীয় পদার্থ হওয়ায় এটি যে কোন ব্যাকটেরিয়া ৯৮ শতাংশ দূর করতে পারে।
ভিনেগারের এই জীবানু নাশকতার জন্যই এটা পরিবারকে রাখবে সুরক্ষিত।
সবশেষে বলবো ঘরে সবসময়ে ভিনেগার রাখা উচিৎ।না থাকলে আজই কিনুন।


                    “সমাপ্ত

   

              ডাবের
পানি ওজন কমায়

ডাবের পানি যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে নানা উপকারি দিক।

ডাবের পানি ওজন কমায়ঃ 

ডাবের পানি খাওয়ার অনেকক্ষণ পর ও মনে হবে যে, ক্ষুধা লাগছে না।তাই খাওয়া কম হবে।এছাড়া ডাবের পানিতে ফ্যাটের পরিমান অনেক কম।ফলে যারা ওজন কমাতে আগ্রহী তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী।

ত্বক সুন্দুর করেঃ 

ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন ইত্যাদি তৈরীতে ডাবের পানির ব্যবহারে বোঝা যায় ত্বক সুন্দর করতে ডাবের পানি কতখানি কার্যকারী।ব্রন, মেছতা বা ত্বকের অন্য কোন দাগ দূর করে মুখ উজ্জল করতে ডাবের পানি সাহায্য করে।

পুষ্টিতে ভরপুরঃ 

ডাবের পানি খাওয়ার অনেকক্ষণ পর ও মনে হবে যে, ক্ষুধা লাগছে না।তাই খাওয়া কম হবে।এছাড়া ডাবের পানিতে ফ্যাটের পরিমান অনেক কম।ফলে যারা ওজন কমাতে আগ্রহী তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী।

হজমে সাহায্যকরে ডাবের পানিঃ 

যদি কারো হজমে সমস্যা থাকে তাহলে ডাবের পানিখেতে পারেন।উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় ডাবের পানি বদহজমে প্রতিহত করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে ডাবের পানিঃ 

কোনকারণে ক্তচাপ বেড়ে গেলে সেটা কমাতে সাহায্য করে ডাবের পানি।ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এনার্জি ড্রিংকে চেয়ে ভালোঃ 

কঠোর পিশ্রমের কারণে শরীর থেকে খনিজ সমৃদ্ধ তরল বেরিয়ে যায়।সেটা পূরণে আমরা অনেকেই এনার্জি ড্রিংক পান করে থাকি।কিন্তু তা না করে এক গ্লাস নারকেলের পানি পান করা ভালো।

রক্তের বিকল্পঃ 

জুরুরী প্রয়োজনে রক্তের বিকল্প হিসাবে ডাবের পানি শরীরে প্রবেশ করানো যেতেপারে কেননা রক্তের গুণাগুণির সাথে ডাবের পানর ভিষণ মিল রয়েছে।


                  “সমাপ্ত” 

 

 
              সর্ষে শাক রাখুন খাবার মেনুতে

পুষ্টিকর শাক হিসাবে সর্ষে শাক বেশ পরিচিত।এতে আছে ভিটামিন সি, কে এব সালফার।সর্ষের নানা গুণ জানা থাকলেও অনেকে সর্ষে শাকের গুণাগুণ বা উপকারিতা জানি না।

শর্ষে শাকের উপকারিতাঃ


 

শর্ষে শাকে থাকা ভিটামিন সি তে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট য দেহকে ভাইরাস ও অসুখ থেকে রক্ষা করে।ভিটামিন এ ভালো রাখে দৃষ্টিশক্তি আর ভিটামিন কে হাঁড় ও মস্তিষ্ক রাখে সচল।সলফার দেহে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।এটি দেহে হার্ট অ্যাটাক আর্থাইটিস ও ক্রনিক রোগের ঝুকি কমিয়ে আনে ও মেগা ৩ ফাটি এসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।বিশেষজ্ঞদের মতে যারা নিয়মিত সর্ষে শাক খান তাদের বিভিন্ন রকম ক্যান্সর হওয়ার ঝুকি কম থাকে।এটি রক্তে কোলেস্টরালের মাতা কমিয়ে আনে সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে সক্ষম।এই শাক ত্বক, চুল ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।শর্ষে শাক গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ্য শিশু জন্মদানের সম্ভবনা বাড়ায়।




                         “সমাপ্ত

                

           

                    দূর্বা ঘাসের উপকারিতা


দূর্বাঘাস আমাদের অতি পরিচিতসু-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত পরিচিত উপকারী

চুলের রক্ষায়ঃ চুল পড়া বন্ধের জন্য একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জাল করে ফেনা ফেলে নিইতারপর দূর্বা ঘাসের টাটকা রস ২শ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জাল দিতে হবেচুলা থেকে নামিয়ে সংরক্ষণ করতে হবেগোসলের ১ঘন্টা আগে ওই তেল চুলে মাখতে হবেনিয়মিত - মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবেই

বমি বন্ধেঃ বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দুর্বা ঘাসের রস থেকে চামচ ১চা চামচ চিনিতে মিশিয়ে ১ঘন্টা পরপর খেতে হবেবমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে

রক্তপাত বন্ধেঃ দুর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়এছাড়াও দুর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশী উপকার পাওয়া যায়

আমাশ নিরাময়েঃ রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তোগ আমাশয়ে উপকারী দুর্বাঘাসআমাশয়ে দুর্বা ঘাসের রস থেকে চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস থেকে চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন থেকে বার খেতে হবেএভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যাবে





                    “সমাপ্ত