Wednesday, June 29, 2016

   খেজুরের উপকারের বেশ কিছু কথা     

খেজুরের আকৃতি অনেকটাই হাতের আঙ্গুলের মত।এই ফল গোলাকার কিংবা সিলিন্ডারকৃতির মত হয়।৩-৭ সে.মি লম্বা প্রস্থ ২-৩ সে.মি এবং জাত ভেদে পাকা অবস্থায় উজ্জল লাল থেকে হলুদ রঙ্গের হয়ে থাকে।ফলের অভ্যন্তরে ২-৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের একটি বিচি থাকে।খেজুর গাছের পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতি আলাদা পুরো বিশ্ব জুড়ে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই খেজুর পরিচিত।বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে খেজুরের কথা এসেছে বহুবার।যেমন পবিত্র বাইবেলে খেজুরের কথা ৫০ বার এবং পবিত্র কোরান শরীফে ২০ বারের মত উপকারের কথা এসেছে।

ভিটামিনের অভাব দূর করে খেজুরঃ

খেজুরের মধ্যে বিদ্যমান আমিষ, ক্যালসিয়াম, শর্করা আয়রণ, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬।খেজুর থেকে আমরা ভিটামিনের অভাব দূর করতে পারি।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ

গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরের মধ্যে পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

শরীর সুস্থ্য রাখতে খেজুরঃ


শরীর সস্থ্য রাখতে খেজুরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন।তাই শরীর সুস্থ্য রাখতে অধিক ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতেঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মাত খেজুর খেলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মায়ের দুধঃ

মায়েদের জন্য খেজুর একটি আর্দশ খাবার খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ বাড়াতে সক্ষম।

হাঁড় গঠনঃ

হাঁড় গঠনে খেজুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে।খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, তাই এটা হাড় গঠনে অনেক উপকারী।

অন্যান্য উপকারঃ

এছাড়াও খেজুরে রয়েছে অনেক গুণ।যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।খেজুরে ৮০ শতাংশ চিনি বাকিটাতে প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম বোরন, কোবাল্ট ফ্লরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক।এতে উপস্থিত নিকোটিন উপাদান অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।এছাড়া নিয়মিত খেজুর খেলে এটি পাকস্থলিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি হ্রাস করে।খেজুর দূর্বল হার্টের জন্য অনেক উপকারী।মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল সেবনে সৃষ্ট বিষক্রিয়কে প্রশমিত করতে খেজুরের কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।পাকা খেজুরে রয়েছে পটাসিয়াম, যা ডায়রিয়া নিরসনে সাহায্য করে।কারণ এটি প্রাকৃতিক এবং শরীরের উপর এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তবে ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর বেশী খেলে হঠাৎ করে ডায়াবেটিস বেড়ে যেত পারে।তাই খুব হিসাব করে খেজুর খাবেন।



         সমাপ্ত    

No comments:

Post a Comment