Thursday, June 2, 2016

খাবার তৈরীতে অতি পরিচিত মসলা আদা


আদার উপকারীতাঃ 

খাবার তৈরীতে সারাবছর ব্যবহৃত হয় আদা।এ আদায় রয়েছে নানা গুণাগুণ।উৎসব আমেজে প্রায় সকলের রান্নাঘরে অপরিহার্য উপাদান হিসাবে আদা থাকে।

আদার নানা গুণাগুণঃ 

জ্বর হলে বা ঠান্ডা লাগালে আদা খেতে পারেন।কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।শীতকালে ঠান্ডার মধ্যে আদা চা বেশ আরামদায়ক।রিতু পরিবর্তনের সময় কারো কারো মাইগ্রেন অ্যজমার সমস্যা দেখা দেয় এ সময়কার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন।সর্দি কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে আরাম পাওয়া যয়।গা পাকানো ও বমি বমি ভাব থেকে রেহাই পেতে আদা কুচি চিবিয়ে খেলে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে।আটারি ওয়েলে ব্লাড কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি এসিড জমে করোনারী হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়।ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়।আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অবজারবেশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।



গবেষণায় জানা গেছে যে অতিরিক্ত ওজন কমতে আদা সাহায্য করে।টিস্যু বেশী এনার্জি ব্যবহার ব্যবহার করায়, বেশী ক্যালারী বার্ন হয়।আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর থাকে।আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা ভিষণ উপকারী।আথ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারাদিনের খাবারে অল্পপরিমাণ আদা রাখুন।আদা দিয়ে চা খেতে পারেন।সালাদে আদা সরু, লম্বাকুচি মেশাতে পারেন।ব্যাথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে।অনেকটাই পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সমস্যা হলে নাজেহাল হতে হয় সেক্ষেত্রে আদা খেতে পারেন।প্রেগনেন্ট নারীদের মনিং সিকনেসের সমস্যা কমাতে সাহায্য    করে আদা।আদা হজমে সাহায্য করে।

সতর্কতাঃ 

গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ করে নিতে হবে।কারণ আদা বাইল ফ্লো বাড়তে সাহায্য করে।আর প্রেগনেন্সির সময় সারাদিনে ২শ-৫০ গ্রামের বেশী আদা খাওয়া যাবে না।এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্চনীয়।
                 

            “সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment