হলুদর গুণাগুণ
হলুদ হলো হলুদ গাছের শেকড় থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের মশলা।পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশের রান্নায় এটি ব্যাপকভাবে ববহৃত হয়।এটি আদা পরিবারের অন্তর্গত একটি গুল্ম
জাতীয় উদ্ভিদ।
হলুদের গুণাবলীঃ হলুদের রয়েছে নানাবিধ উপকারীতা-
১. সাধারণ কাঁটা-ছেড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের
কাজ করে।
২. মুখে জ্বালা পোড়া করলে গরম পানির
মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে পানির
মধ্য হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৪. সূর্যের তাপে গা জ্বলে হলুদের
পাউডারের মধ্যে পাউডারের চূর্ণ এবং টক দই পেস্ট করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৫. সর্দি কাশি হলে হলুদ খেতে হবে।কাশি
হলে হলুদের টুকরা মুখের ভেতরে রেখে চুষতে হবে।এছাড়া ১গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের
গুঁড়া এবং গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে হবে।
৬. আয়ুর্বেদিক মতে হলুদ রক্তশূন্য
করে।
৭. হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম
রোগ দূর হয়।
৮. এটি চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতেও
সাহায্য করে।হলুদের সাথে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জল হয়।
৯. হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক
কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১০. হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়।হলুদে
কারকিউমিন নামে এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়।শরীরের
কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।
১১. গা ব্যাথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ
মিশিয়ে খেতে পারেন।জয়েন্টের ব্যাথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরী করে প্রলেপ দিলে ব্যাথা উপশম
হয়।
১২. যখন ফুলকপির সাথে হলুদ মিশিয়ে
খাওয়া হয় তখন তা গ-ন্ড ব্লাডারে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১৩. ব্রেস্ট ক্যান্সার লাংস পর্যন্ত
যাতে ছাড়াতে না পারে তা প্রতিরোধ করে হলুদ।
১৪. এটা শৈশবে লিউকমিয়ার ঝুঁকি কমায়।
১৫. ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক বা যাদের ত্বকে
এলার্জি প্রকোপ বেশী তা কমাতে এবং নতন কোষ গঠন করতে হলুদ উপকারী।
১৬. চাইনিজরা বিষণ্নতা কমাতে অনেক
আগে থেকে হলুদের চিকিৎসা করে আসছে।
১৭. লিভার ড্যামেজ যা একসময়ে সিরোসিসে
রূপ নেয় তা প্রতরোধে হলুদর উপকার অনীস্বীকার্য।
১৮. রিশার্চে প্রমাণিত হয়েছে হলুদের
মাধ্যমে পূর্ব চিকিৎসা নেয় হলে তা ক্যান্সার সেলকে দূর্বল করে দেয় এবং এতে করে ক্যান্সার
সহজে ছাড়তে পারে না।
১৯. গলায় ব্যাথা হলে কাঁচা হলুদ
আদার সঙ্গে পিষে গুড় মিশিয়ে গরম করুন তারপর সেটা খেতে হবে।গলা ব্যাথা কমে যাবে।
২০. ঘা এর মধ্যে হলুদের প্রলেপ লাগালে
ঘা পাঁচড়া তাড়াতাড়ি সেরে যায়।



No comments:
Post a Comment