অতি পরিচিত খাবার ছোলার কিছু গুণাবলী
উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ ১টি খাবার ছোলা।কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারী রান্না করে খাওয়া যায়।কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খোসা ছড়িয়ে কাঁচা আদার সংঙ্গে খেলে শরীরে একই সংগে আমিষ ও অ্যান্টিবায়টিক যাবে।আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়।আর অ্যান্টিবায়টিক যে, কোন অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।ছোলায় রয়েছে জ্বর ভালো করার ক্ষমতা।আর কাঁচা ছোলার ক্ষমতা রান্না ছোলার চেয়েও বেশী।
ছোলার উপকারিতাঃ
পানিতে ভেজানো ছোলার ভিটামিন বি এর পরিমাণ বেশী থাকে।ভিটামিন
বি বেরিবেরি রোগ, মস্তিষ্কের গোলযোগ ও হৃদপিন্ডের দূর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।ছোলায়
ভিটামিন সি ও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ।
ছোলায় পুষ্টিগুণের পরিমাণঃ
প্রতি ১’শ গ্রাম ছোলায় আছে প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন
৬৪গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫গ্রাম ফ্যাট বা তেল।ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের
গাইসেমিক ইনডেক্র কম।খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে গ্লুকোজ হয়ে রক্তে চলে যায় না।তাই
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভালো।ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলি আনস্যাচুরেটেড
ফ্যাট যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়।প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও
আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।প্রতি ১’শ গ্রাম ছোলায় আছে ক্যালসিাম প্রায়ই ২’শ মি.গ্রা।লৌহ
১০মি.গ্রা ও ভিটামিন ১’শ ৯০ মাইক্রোগ্রাম।এছাড়াও ভিটামিন বি১, বি২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম
এসবই শরীরের জন্য কাজে লাগে।
খাদ্য আঁশঃ
ছোলায় খাদ্য আঁশ আছে।এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যে বেশ উপকারী।খাবারের
আঁশ হজম হয় না।এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতেই থাকে।এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।এবং খাদ্যনালীর
ক্যান্সার হবার সম্ভবনা কমে।রক্তের চর্বি কমাতেও সহায়ক খাদ্যের আঁশ।
আরও নানান শাররিক উপকার আছে খাদ্যের আঁশে।দেরীতে হজম হয় এরুপ
১টি খাবার হচ্ছে ছোলা।শরীরে শক্তির যোগান দিতে থাকে দীর্ঘক্ষন ধরে।প্রতি ১’শ গ্রাম
ছোলা থেকে পাওয়া যায় ৩’শ৬০ ক্যালরিরও অধিক শক্তি।


No comments:
Post a Comment