অতি পরিচিত সবজী কাকরোল
কাকরোলএকটি জনপ্রিয় সবজী।কাকরোল ভাজি, রান্না ও ভর্তা করে
খাওয়া যায়।কাকরল একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সবজী।বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লা, যশোর, কিশোরগজ্ঞ, চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রামে
প্রচুর পরিমাণে বাণিজ্যিকভাবে কাকরোল চাষ হচ্ছে।এতে অন্যান্য সবজীর তুলনায় আমিষ বেশী থাকে।যা মানুষের দৈহিক গঠনের জন্য খুবুই দরকারী।
গুণাগুণঃ
কাকরোল
প্রতি ১’শ
গ্রাম খাদ্যে প্রোটিন ৩.১
গ্রাম, শর্করা ৭.৭
গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১.১
গ্রাম, চর্বি ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম
৩৩ মি.গ্রা, ফসফরাস ৪২ মি.গ্রা, আয়রণ ৪৬ মি.গ্রা
এবং ক্যারোটিন ১৬শ২০ মাইক্রোগ্রাম।
কাকরোলের প্রয়োজনীয়তাঃ
কাকরোলে
ক্যালরির পরিমান খুবুই কম।এতে রয়েছে ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন ও আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।গর্ভকালীন
সময়ে অনেকের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়।কাকরোল ভিটামিন বি ও সি এর
ভালো উৎস।যা কোষের গঠন ও নতুন কোষ
তৈরী করতে সাহায্য করে।ফলে স্নায়ুবিক ত্রুটি হয় না।কাকরোলে পর্যাপ্ত পরিমান ফাইটো নিউট্রেয়েন্ট, পলিপেপটিভ পিত্ত উদ্ভিদ ইনসুলিন আছে যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রন করে।যকৃৎ, পেশি ও শরীরের মেদ
বহুল অংশে গাইকোজেন সংশেষন করে।ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে।
দূর্গন্ধ দূর করতেঃ
ঘামের
দূর্গন্ধ দূর করতে কাকরোলের জুড়ি নাই।গোসলের সময় কাকরোল বাটা স্রাব হিসাবে গায়ে মাখুন ১০মিনিট শরীর ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলুন।এতে দূর্গন্ধ কমে যাবে এবং ত্বক ও কোমল থাকে।
অন্যান্য উপকারিতাঃ
কাশি
হলে ৩গ্রাম কাকরোল বাটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করলে কাশি কমে যাবে।শ্বাসকষ্ট হলে ২শ৫০ গ্রাম থেকে ৫শ মি.গ্রা
কাকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে ১চা চামচ আদার রস ও ১চামচ মধু
মিশিয়ে খান অনেক আরাম পাওয়া যাবে।কিডনীতে পাথর হলে ১০গ্রাম কাকরোল
বাটা ১গ্লাস দুধে মিশিয়ে খান আরাম পাওয়া যাবে।এভাবে প্রতিদিন পান করুন দ্রুত সেরে যাবে।



No comments:
Post a Comment