বহু দেশে কলা একটি অন্যতম প্রধান ফল।বাংলাদেশে নরসিংদী,মুন্সিগঞ্চ,যশোর,বরিশাল,বগুড়া,রংপুর,
জয়পুরহাট,কুষ্টিয়া,ঝিনাইদহ,মেহেরপুর প্রভৃতি এলাকায় শত শত বৎসর যাবৎ কলা চাষ হয়ে আসছে।বাংলাদেশে
কলা চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা দেশে এ অঞ্চলে সব দেশে প্রায়ই উচু ভূমিতে এর চাষ
হয়।প্রতি ১’শ গ্রাম কলায় আছে ১শ১৬ ক্যালারী, ক্যালসিয়াম ৮৫ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬ মি.গ্রা,
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮ মি.গ্রা, ফসফরাস ৫০ মি.গ্রা, পানি ৭০.১%, প্রোটিন ১.২%, চর্বি০.৩%.খনিজলবণ০.৮%,
আঁশ ০.৪%, শর্করা ৭.২%।
কলারউপকারী গুণাগুণঃ কলা পুষ্টিগুণে উপকারী একটি ফল।এতে শর্করা,আমিষ,ভিটামিন
ও খনিজলবণের সমন্বয় রয়েছে।এতে কিঞ্চিত ফ্যাট, পর্যাপ্ত খনিজ ও যথেষ্ট লবণের মধ্যে আছে
পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ।এ, বি ও কিছু ভিটামিন সি, সমৃদ্ধ এই একটি কলা প্রায়
১’শ ক্যালারী শক্তির যোগান দেয়।কলায় আছে সহজে হজম যোগ্য শর্করা, যা শরীরে দ্রুত শক্তি
সরবারহ করে।কলা হজমে সাহায্য করে।অ্যাসিডিটি গ্যাস্টিক আলসারের রোগীরা কলা খেতে পারেন।কেননা
পাকা কলা অ্যাসেডিটি নিাময়ে সক্ষম।পাকস্থলীর আবরণীতে নরম কলার প্রলেপ আলসারের অস্বস্তি
কমায়।কলা অ্যাসেডিটির জন্য বুক জ্বালা পোড়া, কো্ষ্ঠকাঠিন্য ও পাতলা পায়খানার জন্য খুব
উপকারী।কলা বাতের ব্যাথা, রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরীতে ও রক্তশূন্যতা দূর করতে বেশ কার্যকারী।কলা
রক্তচাপ কমাতে ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়ক।কলায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরী।তাই মাত্র একটি
কলা খেলেই অনেক সময় পর্যন্ত শরীরে শক্তি যোগায়।অতিরিক্ত জ্বর হলে শরীর দূর্বল যায় এ
সময় কলা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে।এবং তাড়াতাড়ি দূর্বলতা কেটে যাবে।পটাসিয়ামের উপস্থিতি
আছে কলাতে তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলা উপকারী ফল।কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
রোধ করে।প্রায় ২মিনিট ধরে কলার খোসা দাঁতের উপর ঘসলে দাঁতের উপর থাকা ময়লা ও দাগ দূর
করে দাঁতকে সাদা করে তোলে।এতে ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে যা ত্বকের কোষর জন্য ভাল।ধূমপান
ছাড়তে হলে বেশি করেকলা খান।কারন কলায় উপস্থিতি ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে কলা।কলার কোন বিকল্প নেই।তাই সর্বদা
কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করুন।কলা খান বেশী বেশী।সুস্থ্য
থাকুন।
“সমাপ্ত”

No comments:
Post a Comment