করমচা
খুবুই জনপ্রিয় টক জাতীয় ফল।ছোট আকৃতির এ রঙ্গিন ফলটি
আচারে এবং ফল হিসাবে নানান বিচার।সু-স্বাস্থ্য
এ ফলে রয়েছে
উন্নতমানের অনেক পুষ্টিগুণ।কাঁটায় ভরা এ ফলের গাছ
থেকে এখন শহরেও চাষ করা হয়।করমচা পুষ্টিগুণে যেমন সমৃদ্ধ তেমনি আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পুষ্টিগুণ করমচাঃ প্রতি ১’শ
গ্রাম করমচাতে রয়েছে এনার্জি ৬২ কিলোক্যালারী, কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫
গ্রাম, ভিটামিন ৪০ আইইড, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন, আয়রন ১.৩
মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২
মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২’শ
৬০ মিলিগ্রাম এবং কপার ০.২
মিলিগ্রাম।
উপকারিতা করমচাঃ কমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরল থাকে না।ভিটামিন সি ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।শরীরের অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।যকৃত ও কিডনীর রোগ
প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।মৌসুমি সর্দি জ্বর কাশিতে করমচা খান।করমচা কৃমিনাশক হিসাবে ওষুধের বিকল্প হিসাবে কাজ করে।এছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।শরীরের ক্লান্তি দূর করে।করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।বাত রোগ কিংবা ব্যাথা জনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুবুই উপকারী।করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য
ভীষণ উপকারী।করমচা ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধ
কার্যকর।করমচায় থাকায় ভিটামিন সি দাত ও মাড়ির সুরক্ষা
দেয়।যকৃত ও কিডনীর রোগ
প্রতিরোধে করমচা সহায়তা করে।এর পটাসিয়াম শরীরের দূষণ বহিস্কার করণে সহায়তা করে।ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের
জন্য করমচা খুবুই উপকারী।করমচাতে উপস্থিতি ভিটামিন বি গাঁয়ের চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।শরীরের ক্লান্তি ও বার বার
হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য কমচার রস বেশ কাজ দেয়।করমচার অনেক গুণ যার কোন বিকল্প নাই।এটি অতুলনীয়।
“সমাপ্ত”

No comments:
Post a Comment