Tuesday, February 23, 2016

গাবের অনেক গুণাগুণ

     
    

দেশী গাব হালকা মিষ্টি,কষযুক্ত একটি ফল।জাল মজবুত ও পচন রোধ করার জন্য আমাদের দেশে কাচা গাবের আঠা জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে।এদেশী গাব খেতে খুব একটা মজাদার নয়।তবে গাব ছাড়াও আর এক গাব পাওয়া যায়।যাকে বলা হয় বিলাতী গাব।বিলাতী গাব দেখতে গাড় লাল সুগন্ধীযুক্ত।খেতেও ভিষণ সুস্বাদু।এর স্বাদ,গন্ধ ও গুণের কারণে প্রায় সারা বিশ্বেই এর চাষ হয়।ঝোপ ঝাড়ে অজন্ত অবহেলায় বেড়ে ওঠে গাব গাছ।মিষ্টি স্বাদের এই ফলটির ফলন অনেক বেশী।গাব ভেষজ চিকিৎসায় ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১’শ গ্রাম খাদ্য উপযোগী গাবে রয়েছে খাদ্যশক্তি।৫শ০৪ কিলোক্যালারি,জলীয় অংশ ৮৩.০ থেকে ৮৪.৩গ্রাম,আমিষ ২.৮ গ্রাম,চর্বি ০.২ গ্রাম,শর্করা ১১.৮ গ্রাম,খাদ্য আঁশ ১.৮ গ্রাম,চিনি ১১.৪৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৪৬ মিলিগ্রাম,ভিটামিন এ ৩৫ আইইড ফসরাস ১৮ মিলিগ্রাম।আয়রণ ০.৬ মিলিগ্রাম,সোডিয়াম ১শ১০ মিলিগ্রাম,পটাসিয়াম ৩শত৩ মিলিগ্রাম,গাবের এসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে রক্ষা করে নানা রোগ থেকে।
উপকারিতাঃ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ কফ,কাশি ইত্যাদি উপশমে গাব সহায়তা করে।উচ্চমাত্রায় খাদ্যশক্তি থাকায় শরীরের দূর্বলতা দূর হয়ে যায়।গাবে থাকা কালসিয়াম হাঁড়কে মজবুত করে।বা-ড প্রেসার ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে গাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।গাবে খাদ্যআঁশ আপনার হজমশক্তি,হৃদরোগ ও স্ট্রোক,অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।দেশী গাবর ফলের খোসার গুড়া আমাশয়,একজিমা ও চর্মরোগের মলম তৈরীতে ব্যবহার হয়।খোসা গরম পানিতে সেদ্ধ করে খেলে পায়খানা ও ডায়ারিয়া দূর হয়।পাতা ও বাকল গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে কৃমি,পাতলা পায়খানা,আমাশয় ও মূত্র সংক্রান্ত রোগ উপশম হয়।





                      “সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment