Wednesday, June 29, 2016

   খেজুরের উপকারের বেশ কিছু কথা     

খেজুরের আকৃতি অনেকটাই হাতের আঙ্গুলের মত।এই ফল গোলাকার কিংবা সিলিন্ডারকৃতির মত হয়।৩-৭ সে.মি লম্বা প্রস্থ ২-৩ সে.মি এবং জাত ভেদে পাকা অবস্থায় উজ্জল লাল থেকে হলুদ রঙ্গের হয়ে থাকে।ফলের অভ্যন্তরে ২-৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের একটি বিচি থাকে।খেজুর গাছের পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতি আলাদা পুরো বিশ্ব জুড়ে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই খেজুর পরিচিত।বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে খেজুরের কথা এসেছে বহুবার।যেমন পবিত্র বাইবেলে খেজুরের কথা ৫০ বার এবং পবিত্র কোরান শরীফে ২০ বারের মত উপকারের কথা এসেছে।

ভিটামিনের অভাব দূর করে খেজুরঃ

খেজুরের মধ্যে বিদ্যমান আমিষ, ক্যালসিয়াম, শর্করা আয়রণ, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬।খেজুর থেকে আমরা ভিটামিনের অভাব দূর করতে পারি।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ

গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরের মধ্যে পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

শরীর সুস্থ্য রাখতে খেজুরঃ


শরীর সস্থ্য রাখতে খেজুরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন।তাই শরীর সুস্থ্য রাখতে অধিক ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতেঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মাত খেজুর খেলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মায়ের দুধঃ

মায়েদের জন্য খেজুর একটি আর্দশ খাবার খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ বাড়াতে সক্ষম।

হাঁড় গঠনঃ

হাঁড় গঠনে খেজুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে।খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, তাই এটা হাড় গঠনে অনেক উপকারী।

অন্যান্য উপকারঃ

এছাড়াও খেজুরে রয়েছে অনেক গুণ।যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।খেজুরে ৮০ শতাংশ চিনি বাকিটাতে প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম বোরন, কোবাল্ট ফ্লরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক।এতে উপস্থিত নিকোটিন উপাদান অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।এছাড়া নিয়মিত খেজুর খেলে এটি পাকস্থলিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি হ্রাস করে।খেজুর দূর্বল হার্টের জন্য অনেক উপকারী।মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল সেবনে সৃষ্ট বিষক্রিয়কে প্রশমিত করতে খেজুরের কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।পাকা খেজুরে রয়েছে পটাসিয়াম, যা ডায়রিয়া নিরসনে সাহায্য করে।কারণ এটি প্রাকৃতিক এবং শরীরের উপর এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তবে ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর বেশী খেলে হঠাৎ করে ডায়াবেটিস বেড়ে যেত পারে।তাই খুব হিসাব করে খেজুর খাবেন।



         সমাপ্ত    

Saturday, June 11, 2016

 
     কুমড়োর
বিচি ফেলনা নয়

এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর উপারিতা আমরা জানিনা বলে সহজলভ্য বলে মরা না খেয়ে অবহেলা করি।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার বিচি।এর অনেক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিমূল্যঃ

মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, খাদ্য আঁশ ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস।এছাড়াও এতে রয়েছে অনেক বেশী পরিমাণ জিংঙ্ক যা প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উদ্দীপকর উন্নয়নে কোষের সঠিক বিভাজনে, ঘুম বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের রং এবং মেজাজ ভালো রাখতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন এই বীজটির ক্যান্সারর কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে।বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টিকুমড়ার বীজর বেশ সফলতা রয়েছে এবং এটির রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ।জার্মান বিজ্ঞানীদের মতে যেসব মহিলারা মেনো পজ অবস্থায় থাকেন তারা যদি বেশী বেশী করে মিষ্টি কুমড়োর বীজ খান তবে তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুকি ২৩শতাংশ কম থাকে।মিষ্টি কুমড়োর বীজের তেল প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় বেশ কার্যকারী।এতে থাকে অনেক বেশী পরিমাণ ফাইটো ক্যামিক্যাল যা ফ্রি রপ্রাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহিত করে।মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস।যা ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।মিষ্টি কুমড়োর বীজ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে থাকার অনুভূতি থাকে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের অপকারিতাঃ

উল্লেখ্য মিষ্টি কুমড়র বীজের অত্যন্ত উপকারিতা থাকলেও এটি খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশী খাওয়া না হয়।খুব বেশী খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।কারণ কাপ মিষ্টি কুমড়োর বিজে রয়েছে ২’শ৮৫ ক্যালরি।


        সমাপ্ত       

Friday, June 10, 2016

      পুঁইশাকের অজানা কিছু ব্যবহার

গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপে যখন মানুষের জীবন অষ্ঠাগত তখন বর্ষা ঋতু আর বৃষ্টি দিয়ে আমাদের প্রাণে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।প্রকৃতি যেন নতুন রুপে আর্বিভূত হয়।অন্যান্য সময়ের চেয়ে এসময়ে অনেক বিচিত্র ফল ও শাকসবজির দেখা মেলে।স্বাদে তো বটেই ভেষজ গুণে ও এসব ফল ও সবজির জুড়ি মেলা ভার।মধু মাসের স্বাদে ভরা বাহারী কিছু ফলের গুণাগুণ শেষে এবার জানব বর্ষাকালের অতি পরিচিত কিছু সবজির গুণাগুণ।

পুঁইশাকের গণাগুণঃ 

পুঁইশাক একটি পুষ্টিকর সবজি।পুঁইশাককে পুষ্টিগুণের খনি ও বলা হয়।পুঁইশাকের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।তবে সবজী হিসাবে এর প্রচলনটা অনেক বেশী।

ব্রন দূর করতে পুঁইশাকঃ 

ব্রনের সমস্যায় কখনও ভুগেন নি এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম।পুঁপাতা ভা করে ধুয়ে পিষে নিন, ব্রনের উপর পুরু করে প্রলেপ দিয়ে লাগান।লাগাতে হবে দিনে ২বার।ব্রনের ব্যাথা ও ব্রন দুটোই দূর হয়ে যাবে।

চুল পড়া রোধেঃ 

অতিরিক্ত চুল পড়লে পুঁইপাতা ভাল করে ধুয়ে বেটে নিতে হবে।এতে খানিকটা অলিভ অয়ে মেশাতে হবে।তারপর পেস্ট করে প্রতিটি চুলের গোড়ায় ভালভাবে লাগাতে হবে।৩০মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।একদিন পর পর টানা ২সপ্তাহ পুঁইপাতা পেস্ট করে লাগালে চুল পড়া রোধ হবে।

ফোঁড়া সারাতেঃ 

ব্রনের মত ফোঁড়া সারাতে পুঁইপাতা ভিষণ উপকারী।একই নিয়মে পিষে ফোঁড়ায় লাগান।অনেক উপকার হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ 

পেটের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পুঁইপাতার কোন জুড়ি নাই।৮-১০মিনিট পুঁইপাতা ভাল করে ধুয়ে ২কাপ পানিতে সামান্যলবণ দিয়ে এই পাতাগুলো সেদ্ধ করে হালকা গরম থাকতে থাকতে পানিসহ পাতাগুলো খেয়ে ফলতে হবে।এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

গ্যাসের ব্যাথা কমাতেঃ 

গ্যাসের প্রচুর ব্যাথা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে পুঁইপাতা সাহায্য করে।পুঁইপাতা পিষে পেটে প্রলেপ দিতে হবে।তারপর বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে।এতে অনেক উপকার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


             “সমাপ্ত

 

   
রোগ প্রতিরোধে অনন্য সবজি লাউ

লাউ আমাদের অনেকের পছন্দের একটি সবজি, লাউ গাছর আগা, ডগা, ফল সবই খাওয়া যায়।স্বাদে এটি যেমন অনন্য, তেমনি অত্যন্ত পুষ্টিকর।লাউ নানা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে বিরাট ভূমিকা পালন করে।লাউ শুধু শীতকালে নয় সারা বছরই পাওয়া যায় বাংলাদেশে।

গুণাগুণঃ 

ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হয়।অনেকে অন্ধ হয়ে যায়।চামড়া শুষ্ক, খসখসে ও মুখের উজ্জলতা কমে যায়।দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে যায়।ক্যালসিয়ামের অভাবে হাঁড় ও দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়।রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।সংকোচন, হৃদস্পন্দন, রক্ত সঞ্চালনসহ শরীরের বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ক্যালসিয়াম সাহায্য করে।ক্যালসিয়ামের অভাবে টিটেনি নামক এক ধরণের রোগ হয়।এ রোগে মাংস পেশীতে সংকোচন, কম্পন হয়।ফলে সারা শরীর ব্যাথা হয়।দ্রুত চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ও হতে পারে।ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম এ সল সমস্যার জন্য খুবুই উপকারী।নিয়মিত লাউ খেলে ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়ামের অভাব ক্রমশই কমে যাবে।

তাছাড়া লাউয়ের নানা ঔষধি গুণাগুণ ও রয়েছে।যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন তারা নিয়মিত লাউয়ের তরকারী খেয়ে উপকার পেতে পারেন।বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন।তারা লাউয়ের তরকারী খেয়ে উপকার পতে পারেন।এক্ষেত্রে লাউ গাছের পাতার শাক খুবুই উপকারী।

অন্যান্য উপকারিতাঃ

১. যাদের খাবার খুব কম হজম হয় বা অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে তাদের জন্য লাউ খুবুই উপকারী খাদ্য।
২. নিয়মিত লাউ খেলে কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৩. যাদের শরীর গরম বা মাথা গরম তারা লাউ খেলে খুবই উপকার পাবে।
৪. যারা হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত তারা নিয়মিত লাউ খান উপকার পাবেন।
৫. লাউ শরীরের চামড়ার আদ্রতা বজায় রাখে।ফলে শীতকালে চামড়ার টান টান ভাব কমে যায়।
৬. যারা হাইপ্রেসার বা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন তারা নিয়মিতলাউ খেলে উপকার পাবেন।
সুতরাং এত উপকারী লাউগাছ বাড়ীর আশেপাশে বা ছাদের উপর লগিয়ে যত্ন নিন।পরিবারের তরকারীর সমস্যা সমাধা হবে।সবার পুষ্টির চাহিদা ও পূরণ হবে।


             “সমাপ্ত

Thursday, June 9, 2016

 

                  মিষ্টি আলুর নানান গুণ

সুস্বাদু আর পুষ্টিকর খাবার মিষ্টি আলু।সহজলভ্য এই খাবারটি অল্পতেই পট ভরাতে দারুণ কার্যকর।ভাতের পরিবর্তে ও মিষ্টি আলু খাওয়া চলে।এতে রয়েছে মিনিরেল, ভিটামিন, ডায়াটারি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।আমরা এবার জানব সুস্থ্যতার জন্য মিষ্টি আলু কতোটা উপকারী ভূমিকা পালন করে।

হজমশক্তি উন্নত করেঃ 

ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত ফাইবার বিভিন্ন ধরণের স্টোমাক সমস্যা যেমন বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।মিষ্টি আলুতে বিদ্যমান উচ্চমাত্রার ফাইবার পাকস্থলি এবং অন্ত্রকে দারুণভাবে কার্যকারী করে তোলে সঠিকভাবে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

প্রদাহ রোধঃ 

মিষ্টি আলুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খাদ্য তালিকাকে শক্তিশালী রতে সক্ষম।দেহের দাহ্যতা মূলক সমস্যা যেমন অ্যাজমা ব্রংকাইটিস, বাত এবং গিটে বাতের মত সমস্যা দর রতে সাহায্য করে।এর মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশিষ্ট ক্ষতিকারক উন্মুক্ত রেডিক্যাল দেই থাকে দূর করে দেয়।এই রেডিক্যাল দেহের জ্বালাপোড়ার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনঃ 

মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা খুব ধরে ধীরে নিসুত হয় রক্ত প্রবাহে।এই প্রবাহ হঠাৎ করে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে বাধা দেয়।এছাড়াও মিষ্টি ইনসুলিন সেনসেটিভকে উন্নত করে যা নিশ্চিত করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন আছে।

মানসিক চাপ দূরঃ 

আপনি যখন অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তখন রক্তে পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গনেসিয়ামের মাত্রা হঠাৎ ভেঙ্গে যায়।এ সমস্যা দূর করার জন্য মিষ্টি আল অধিক কার্যকর।মিষ্টি আলুতে বিদ্যমান পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গনেসিয়াম ভারসাম্য বজায় রেখে হার্টবিটকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।নিমেষেই মানসিক চাপ দূর করে দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ 

এই সবজিতে পর্যাপ্ত আয়রণ থাকায় হোয়াইট ব্লাড সেল প্রোডাকশনকে সক্রিয় করে।এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সঠিক রাখে।মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন ডি যা শারীরিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

হৃদযন্ত্রকে সুস্থ্য রাখেঃ 

ভিটামিন ‘বি’৬ এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে হার্টঅ্যাটাক এবং স্টোক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে।তরল এবং ইলেকট্রোলাইটের সঠিক ভারসাম্যপূর্ণ সঞ্চালনর ফলে হার্ট থাকে সুস্থ্য।




            “সমাপ্ত

        কলার মোচার স্বাস্থ্য উপকারীতা

স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা কলা যেমন উপকারী সবজী।তেমনি কলার মোচাও অনেক উপকার।শহরেও প্রচুর আয়রণ সমৃদ্ধ কলার মোচা মাঝে মধ্যে সুলুভ মূল্যে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করতে কলার মোচার তুলনা হয় না।দেহে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে বা রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কলার মোচা খুবুই উপকারী।কলার মোচায় আয়রণের সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গনেসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি।গলগন্ড বা গয়টার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আয়োডিন।কলার মোচায় থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।অকালে দৃষ্টিশক্তি হারানো থেকে রক্ষা পেতে কলার খাওয়া প্রয়োজন।




গর্ভস্থ শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ মস্তিষ্কের গঠন মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় হয়ে থাকে।গর্ভবতী নারীদের এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা খাওয়া উচিৎ।ত্বক, চুল ভালো রাখতে এই সবজীর আয়রণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।মোচায় থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠনেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে রাখে।মনোপোজ বা নির্দিষ্ট বয়স পরে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় গঠন মজবুত করতে এই খুবুই উপকারী।বয়স্ক নারী পুরুষ ও বাড়ন্ত শিশু খেলোয়ার বা যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশীকরে তাদের জন্য এই সবজী আর্শীবাদ স্বরূপ।


        সমাপ্ত

হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে চালতা

চালতা একটি অপ্রকৃত ফল।এ ফলের যে, অংশটা খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃত্তি।ভক্ষণযোগ্য অংশটা হলো পরিণত বৃতির মাংসল পর্বত।চালতা ফল বাঁকানো নলের মতো এবং চটচটে কোষ বা রস থাকে।
  চালতা ফল দিয়ে আচার তৈরী করা যায়।কিছু কিছু এলাকায় চালতা চালতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়।পাকা চালতা ভর্তা, মসলা দিয়ে, মাখিয়েও খাওয়া যায়।এক অর্থে চালতা একটা অবহলিত ফল হলেও এতে আছে ক্যালসিয়াম, শর্করা, আমিষের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।এছাড়াও আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, থায়ামিন ও রিবোফ্লাবিন।তাই চালতা শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে তমনি পুষ্টি পূরণেও উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখে।

উপকারীতাঃ 

চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ, ভিটামিন এ, বি, সি এর ভালো উৎস।প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরণের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু স্তন্ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এর ভেতর থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরণের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এর ভেতর থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।চালতায় উপস্থিত আয়রণ রক্তের লোহিত কণিকায় কাজকর্মে সহায়তা করে।রক্তের সংবহন ঠিক রাখে।চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।চালতা পেটের অসুখ ও ডায়ারিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নাই।রক্তের খারাপ কোলেস্টরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।কিডনীর নানা রোগ প্রতিরোধ, হজম শক্তি বৃদ্ধি, অন্ত্রে বাসা বাঁধা কৃমি ও পাকস্থলীর আলসারের বিরুদ্ধে লড়ায় করতে এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে চালতার।কানের যে কোন সমস্যায় চালতার ভিষণ উপকার রয়েছে।চালতার রস ভীষণ উপকারী।চালতার কোন জুড়ি নাই।

পাতা মূলের উপকারিতাঃ 

শুধু ফল নয় চালতার মূল ও পাতার ও ঔষধী গুণ।রক্ত আমাশয় গাছের কচি টাটকা পাতায় বেটে তার রস ২০ মিলি মি. ১ কাপ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে দিনে ২বার খেলে রোগের উপশম হয়।মচকে গিয়ে ব্যাথা পেলে সেখানে চালতা গাছের মূল ও পাতা পিষে প্রলেপ দিলে ব্যাথা কমে যায়।

রুপ চর্চায় চালতাঃ 

শুধু খাদ্য হিসাবে নয় রুপ চর্চার উপাদান হিসাবেও রয়েছে চালতার ব্যবহার।কাচা চালতা পানিতে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাবেন খুশকি দূর হয়ে যাবে।চালতার রসর সাথে স্কাবার হিসাবে ব্যবহার করলে মরা কোষ পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠে উজ্জল কোমল ও মসৃণ।চালতার রস টোনার হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।চালতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে তাতে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে লাগান ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।ত্বকে বলিরেখা পড়া বিলম্বিত করে এই টোনার।চালতা রসের সাথে চিনি মিশিয়ে ত্বকের কালো অংশগুলোতে লাগান।আঙ্গুল দিয়ে হালকা ম্যাসেজ করুন ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত।এরপর ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জল ও লাবণ্যময়।




            “সমাপ্ত

পেয়াজের রয়েছে ২০টি চমকপ্রদ গুণ

সকলেই জানে পেয়াজ স্বাস্থ্যের জ্ন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন পোজর প্রয়োজন রয়েছে।বিভিন্ন ধরণের রোগ ইনফেকশন রোধ করতে পেয়াজের অবদান অনেক।এছাড়াও প্রায় সকল প্রকার খাবারে পেয়াজ ব্যবহার করা হয়।
নিম্নে পেয়াজের ২০টি গুণাবলি উল্লখ করা হলো-
১. পেয়াজে রয়েছে আ্যন্টিবায়োটিক, আ্যন্টিসেপ্টিক, আন্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং বায়ু রোগহর, যা রোগ সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
২. পেয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সালফার তন্ত, পটাসিয়াম, ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন সি এতে চর্বি কোলেস্টেরল এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম।
৩. জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যাথা, এলার্জি ইত্যাদি খুব দ্রুত পেয়াজের দ্বারা দূর করা সম্ভব।পেয়াজের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক ভাবেই রোগ নিরাময় হয়।
৪. এক টুকরা পেয়াজ অর্ধেক করে কপালে দিয়ে রাখলে জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দূর হয়।
৫. নাক দিয়ে রক্ত পড়লে, এক টুকরা পেয়াজ নাকের সামনে নিয়ে নিঃশ্বাস নিলে রক্তপাত থেমে যাবে।
৬. যাদের ঘুমে সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিনই পেঁয়াজ খাবর অভ্যাস করলে, তাদের ঘুমের সমস্যা অবশ্যই দূর হবে।
৭. পেয়াজ পাচনতন্ত্র উন্নত করতে পারে।যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে পেঁয়াজ খাবার ফলে হজম রস বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি নিরাময় হয়।
৮. পেয়াজের রস পোড়া স্থানে, পোকা মাকড়, কামড় দেয়া স্থানে লাগালে তাড়াতাড়ি তা হতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৯. ক্যান্সার রোধ করতেও পেয়াজ সাহায্য করে।এটি মাথা ঘাড় ও কোলন ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।
১০. পেয়াজ শরীরের ইনসুলিন বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে।এছাড়াও রক্তে চিনির স্তর ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
১১. শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভাল কোলেস্টেরলকে সুরক্ষিত রাখে।
১২. বাতের প্রদাহ দূর করতে পেয়াজ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
১৩. শরীরের যে কোন ব্যাথা দূর করতে পেয়াজ কার্যকারী।
১৪. ত্বকের কাল দাগ দূর করার জন্য পেয়াজ ও হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে।উপকার পাওয়া যাবে।
১৫. কান ও চোখের সমস্যা দূর করার জন্য পেয়াজর রস ব্যবহার কর হয়।
১৬. দাঁতের ক্ষয়িষ্ণু দূর করার জন্য পেয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৭. পেয়াজ শরীরের টিস্যুলোকে নবজীবন প্রদান করে।
১৮. ভালো মেমোরী ও শক্তিশালী স্নায়ুতন্ত্রের জন্য পেয়াজকে প্রিয় খাদ্য হিাবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
১৯. চুল পড়া রোধ করার জন্য মাথায় পেয়াজের রস ব্যবহার করা যেতে পারে।এটি পেয়াজের সব থেকে বড় সুবিধা।
২০. পেয়াজে প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে এটি গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।


             “সমাপ্ত

Thursday, June 2, 2016

       
           হলুদর
গুণাগুণ

হলুদ হলো হলুদ গাছের শেকড় থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের মশলা।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় এটি ব্যাপকভাবে ববহৃত হয়।এটি আদা পরিবারের অন্তর্গত একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
হলুদের গুণাবলীঃ হলুদের রয়েছে নানাবিধ উপকারীতা-
১. সাধারণ কাঁটা-ছেড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।
২. মুখে জ্বালা পোড়া করলে গরম পানির মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে পানির মধ্য হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৪. সূর্যের তাপে গা জ্বলে হলুদের পাউডারের মধ্যে পাউডারের চূর্ণ এবং টক দই পেস্ট করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৫. সর্দি কাশি হলে হলুদ খেতে হবে।কাশি হলে হলুদের টুকরা মুখের ভেতরে রেখে চুষতে হবে।এছাড়া ১গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়া এবং গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে হবে।
৬. আয়ুর্বেদিক মতে হলুদ রক্তশূন্য করে।
৭. হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়।
৮. এটি চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে।হলুদের সাথে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জল হয়।
৯. হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১০. হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়।হলুদে কারকিউমিন নামে এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়।শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।




১১. গা ব্যাথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।জয়েন্টের ব্যাথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরী করে প্রলেপ দিলে ব্যাথা উপশম হয়।
১২. যখন ফুলকপির সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া হয় তখন তা গ-ন্ড ব্লাডারে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১৩. ব্রেস্ট ক্যান্সার লাংস পর্যন্ত যাতে ছাড়াতে না পারে তা প্রতিরোধ করে হলুদ।
১৪. এটা শৈশবে লিউকমিয়ার ঝুঁকি কমায়।
১৫. ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক বা যাদের ত্বকে এলার্জি প্রকোপ বেশী তা কমাতে এবং নতন কোষ গঠন করতে হলুদ উপকারী।
১৬. চাইনিজরা বিষণ্নতা কমাতে অনেক আগে থেকে হলুদের চিকিৎসা করে আসছে।
১৭. লিভার ড্যামেজ যা একসময়ে সিরোসিসে রূপ নেয় তা প্রতরোধে হলুদর উপকার অনীস্বীকার্য।
১৮. রিশার্চে প্রমাণিত হয়েছে হলুদের মাধ্যমে পূর্ব চিকিৎসা নেয় হলে তা ক্যান্সার সেলকে দূর্বল করে দেয় এবং এতে করে ক্যান্সার সহজে ছাড়তে পারে না।
১৯. গলায় ব্যাথা হলে কাঁচা হলুদ আদার সঙ্গে পিষে গুড় মিশিয়ে গরম করুন তারপর সেটা খেতে হবে।গলা ব্যাথা কমে যাবে।
২০. ঘা এর মধ্যে হলুদের প্রলেপ লাগালে ঘা পাঁচড়া তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

            “সমাপ্ত

খাবার তৈরীতে অতি পরিচিত মসলা আদা


আদার উপকারীতাঃ 

খাবার তৈরীতে সারাবছর ব্যবহৃত হয় আদা।এ আদায় রয়েছে নানা গুণাগুণ।উৎসব আমেজে প্রায় সকলের রান্নাঘরে অপরিহার্য উপাদান হিসাবে আদা থাকে।

আদার নানা গুণাগুণঃ 

জ্বর হলে বা ঠান্ডা লাগালে আদা খেতে পারেন।কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।শীতকালে ঠান্ডার মধ্যে আদা চা বেশ আরামদায়ক।রিতু পরিবর্তনের সময় কারো কারো মাইগ্রেন অ্যজমার সমস্যা দেখা দেয় এ সময়কার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন।সর্দি কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে আরাম পাওয়া যয়।গা পাকানো ও বমি বমি ভাব থেকে রেহাই পেতে আদা কুচি চিবিয়ে খেলে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে।আটারি ওয়েলে ব্লাড কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি এসিড জমে করোনারী হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়।ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়।আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অবজারবেশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।



গবেষণায় জানা গেছে যে অতিরিক্ত ওজন কমতে আদা সাহায্য করে।টিস্যু বেশী এনার্জি ব্যবহার ব্যবহার করায়, বেশী ক্যালারী বার্ন হয়।আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর থাকে।আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা ভিষণ উপকারী।আথ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারাদিনের খাবারে অল্পপরিমাণ আদা রাখুন।আদা দিয়ে চা খেতে পারেন।সালাদে আদা সরু, লম্বাকুচি মেশাতে পারেন।ব্যাথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে।অনেকটাই পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথার সমস্যা হলে নাজেহাল হতে হয় সেক্ষেত্রে আদা খেতে পারেন।প্রেগনেন্ট নারীদের মনিং সিকনেসের সমস্যা কমাতে সাহায্য    করে আদা।আদা হজমে সাহায্য করে।

সতর্কতাঃ 

গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ করে নিতে হবে।কারণ আদা বাইল ফ্লো বাড়তে সাহায্য করে।আর প্রেগনেন্সির সময় সারাদিনে ২শ-৫০ গ্রামের বেশী আদা খাওয়া যাবে না।এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্চনীয়।
                 

            “সমাপ্ত