Friday, July 22, 2016


               নিম পাতার ঔষধি গুণাগুণ


আমরা জানব ঔষুধী গাছ হিসাবে নিম গাছের ঔষধী গুণাগুণ।কেননা নিমের ফুল, পাতা, বাকল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১’শ রোগের চিকিৎসা করা যায়।

ম্যালেরিয়াঃ

নিম পাতার নির্যাস ব্যবহার করে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়।পানি বা এলকোহল নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরণের ফল খাওয়া যায়।

মানসিক চাপ ও অশান্তিঃ

অল্প পরিমান নিম পাতার নির্যাস খেলে মানসিক চাপ ও অশান্তি কমে যায়।

এইডসঃ

নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম।নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা বা নিম পাতা চা পান করলে এইডস উপশম হয়।

আলসারঃ

নিম পাতার নির্যাস ও নিম বীজ হতে নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়।

ব্রনঃ

নিম পাতা পেষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রন সেরে যায়।

জন্ডিসঃ

২৫-৩০ ফোটা নিম পাতার রস মধুর সাথে খেলে সকালে খালি পেটে জন্ডিস আরাগ্য হয়।

বহুমূত্র রোগঃ

প্রতিদিন ১টেবিল চামচ নিম পাতার রস সকালে খালি পেটে ৩মাস খেলে ডায়াবেটিস আরাগ্য হয়।প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা গুড়ো বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়াবেটিস ভালো হয়।নিম পাতার রস খেলে শতকরা ৩০-৭০ ভাগ ইনসুলিন নেয়ার প্রবনতা কমে যায়।

রাতকানাঃ

নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম হয়।

চোখের ব্যাথাঃ

নিম পাতা সামান্য শুষ্ক আদা ও লবণ পিষে সামান্য গরম করে একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড় লাগিয়ে তা দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীত ব্যাথা সেরে যায়।

লাল মেহ রোগঃ

নিম মূলের ছালের রস ও কাচা দুধ মিশিয়ে কিছুদিন খেলে লাল মেহ রোগ উপশম হয়।

মাথাধরাঃ

নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।

ক্যান্সারঃ

নিম তেল, বাকল ও পাতা নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার টিউমার, স্কীন ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ ভালো হয়।

উকুনঃ

নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন সব মারা যায়।

হৃদরোগঃ

নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়।নিমের নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমায়।রক্ত পাতলা করে হার্টবিট কমায়।

কৃমি নিরসনঃ

৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমান সন্ধব লবনসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়।নিয়মিত ১সপ্তাহ সেবন করে গেলে কৃমির কোন যন্ত্রনায় পোহাতে হবে না বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

রক্ত পরিষ্কার চর্ম রোগঃ

কাঁচা নিম পাতা ১০গ্রাম ২কাপ পানিতে জাল করে ১কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেকে নিয়ে প্রয়জনমত চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।এ নিয়মে প্রত্যেক দিন ২-৩বার, নিয়মিত ১-২মাস সেবন করে যেতে হবে।তাতা উপশম হবে।

দাঁতের যত্নঃ

কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে।নিম পাওডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।নিম পাতার নির্যাস পানিতে মিশিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমন, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ি ব্যাথা কমে যায়।

স্বপ্ন দোষ প্রশমনঃ

নিমের ছালের রস ১-২ চা চামচ ১গ্লাস রিমান গরুর দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় সেবন করলে স্বপ্নদোষ প্রশমিত হয়।

খোশ পাঁচড়া পুরানো ক্ষতঃ

নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে আক্রান্ত স্থানে ৭-৮দিন প্রলেপ দিলে খোশ পাঁচড়া ও পুরানো ক্ষতের উপশম হয়।নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

বমিঃ

বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬ ফোটা দুধ দিয়ে খেলে অতিসত্বর উপশম হয়।



                “সমাপ্ত”                                                                              

Monday, July 18, 2016


             লেবু পানের উপকারীতা  


প্রতিদিন খানিকটা লেবু পানি খাওয়া খুবুই ভালো।এটি আমাদের দেহে পুষ্টি, ভিটামিন ও মিনারেল যোগায়।প্রাকৃতিকভাবে লেবুপানি আমাদের দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের দেহে পানিশূন্যতা থাকে এবং এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়জন পানি যা থেকে টক্সিন বের করে দেয় ও কোষগুলো সজীব করে।তাই প্রতিদিন সকালে অন্তত ১গ্লাস লেবু পানি আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত।

. লেবুপানি আমাদের দেহে যথেষ্ট পরিমান ইলেকট্রোলাইটসের যোগান দিয়ে থাকে।যা দেহর পানিশূন্যতা দূর করে।লেবুতে আছে প্রচুর পরিমান পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

. লেবুপানি দেহের গিটে গিটে ব্যাথা দূর করে।

. লেবুতে আছে ক্রিটিক এ্যাসিড যা দেহের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

. অন্য যেকোন পানিয় থেকে লেবু পানি আমাদের দেহের লিভারের জন্য খুব উপকারী।

. লেবুপানি আমাদের দেহের লিভার থেকে টক্সিন বের করে লিভারকে সুস্থ সবল রাখে।


. লেবুপানি আমাদর দেহের প্রদাহ দূর করে গলা ব্যাথা ও টনসিলের সমস্যা শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন ও সারিয়ে তোলে এই লেবু পানি।

. লেবুপানি আমাদের পেট ভালো রাখে।

. লেবুপানি আমাদের দেহের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে ও লেবুর আ্যান্টিক্সিডেন্ট উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

. লেবুপানি দেহের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম পরিষ্কার রাখে।

১০. লেবুপানি দেহের ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রন রাখে।রোজ পান করলে হাই ব্লাড প্রেসার ১০% করে কমে।

১১. লেবুপানি ত্বকের জন্য খুবুই ভালো।লেবুর ভিটামিন সি উপাদান দেহের ত্বক ও টিস্যুর জন্য খুবুই জুরুরী।



১২. গর্ভবতী নারীদের জন্য লেবুপানি খুবুই উপকারী।কারণ এটি দেহের ভাইরাসও ধ্বংস করে ও হাঁড়ের টিস্যু মজবুত করে।একই সময়ে লেবুর পটাসিয়াম উপাদান বাচ্চার মস্তিষ্কের ও নার্ভাতন্ত্রের কোষ সবল রাখতে সাহায্য করে।

১৩. দেহর কোন অংশ পুড়ে গেলে তা লেবু পানি দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।লেবু পানি কোষ গুলোকে সজীব করে রাখে বিধায় যে কোন ক্ষত সহজেই নিরাময় হয়ে যায়।

১৪. লেবুপানি পিত্তথলি, আগ্নাশয় ও কিডনীর পাথর রোধ করা সম্ভব।

১৫. লেবু পানি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে।লেবুতে আছে এলকালাইন উপাদান এবং বিজ্ঞানীরা বলেছেন ক্যান্সারের কোষ এলকালাহন উপাদানের সাথে থাকতে পারে না।



                 “সমাপ্ত 

Friday, July 15, 2016


 ৮টি স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান মাত্র ১কাপ পুদিনার চা


খাবারে একটু ভিন্ন স্বাদ যোগ করতে এবং পুদিনার ফ্লেভারের জন্য এই পুদিনা পাতা অনেক খাবারে ব্যাবহার করা হয়।অনেকেই পুদিনা পাতার তৈরী চা পান করতে পছন্দ করেন।কিন্তু এই পুদিনা পাতার চা আমাদের দেহের জন্য অনেকটা স্বাস্থ্যকর।প্রতিদিন মাত্র ১কাপ পুদিনা পাতার চা অনেক মারাত্নক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

. উচ্চ রক্তচাপ দূর করেঃ


পুদিনা পাতা পটাসিয়ামে ভরপুর, এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায় এবং হার্টবিটের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।

. মুখের নানা ইনফেকশন সমস্যা সমাধান করে পুদিনা পাতাঃ


পুদিনা পাতার আ্যান্টিক্সিডেন্ট মুখর ভেতরে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষ সহায়ক।পুদিনা পাতার চা পানে মুখের ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর হয়।এবং নিঃশ্বাসের দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

. দেহের নানা অঙ্গের ব্যাথা দূর করে পুদিনাঃ


মাথা ব্যাথা, মাংস পেশিতে ব্যাথা, এমনকি পেটে ব্যাথার মত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে পুদিনা চা।

. বিষণ্নতা দূর করেঃ


পুদিনা পাতার চায়ে রয়েছে মানসিকচাপ দূর করে মস্তিষ্ক রিলাক্স করার জাদুকারী ক্ষমতা।মানসিক চাপের পাশাপাশি এটি দূর করে বিষণ্নতার সমস্যাও।

. স্মৃতি শক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে পুদিনারঃ


পুদিনা পাতার সুঘ্রান মস্তিষ্ককে সজাগ সচেতন রাখে।স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে সহায়তা করে।শুধুমাত্র পুদিনাপাতার ঘ্রান নেওয়া মস্তিষ্কের জন্য বেশ ভালো।

. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে পুদিনাঃ


পুদিনার মেস্থল নামক উপাদান নানা ধরনের ক্যান্সারের কোষ দেহে গঠন হতে বাধা প্রদান করে।বিশেশ করে প্রোস্টট ক্যান্সার।

. বমি বমি ভাব সমস্যার সমাধান করে পুদিনাঃ


অনেকেরই নানা কারণে বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়।কিছুই খাওয়া যায় না শরীর পাকায়।এই বমি ভাবের সমাধান হবে পুদিনা পাতায়।

. আ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে দেয় পুদিনা চাঃ

পুদিনার অসাধরণ ঘ্রান শ্বাস প্রশ্বাস নালীর নানা সমস্যাজনিত রোগ দূর করতে সহায়তা করে।প্রতিদিন পুদিনা চা পানে অ্যাজমা সহ প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে।

যেভাবে তৈরী করবেন পুদিনা চাঃ


২কাপ পানিতে ১মুঠো পুদিনা পাতা ধুয়ে সামান্য ছেচে ফুটাতে হবে।যখন পানি ফুটে ১কাপ পরিমান হবে, তখন ছেকে নামিয়ে নিতে হবে, তারপর পরিমান মত মধুমিশিয়ে খেতে হবে।পুদিনা পাতার কোন বিকল্প নেই।নিয়মিত পুদিনা পাতা চা ব্যবহর করুন।




                 “সমাপ্ত



         অতি পরিচিত সবজী কাকরোল     


কাকরোলএকটি জনপ্রিয় সবজীকাকরোল ভাজি, রান্না ভর্তা করে খাওয়া যায়কাকরল একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্ম বর্ষাকালীন সবজীবাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লা, যশোর, কিশোরগজ্ঞ, চট্রগ্রাম পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রচুর পরিমাণে বাণিজ্যিকভাবে কাকরোল চাষ হচ্ছেএতে অন্যান্য সবজীর তুলনায় আমিষ বেশী থাকেযা মানুষের দৈহিক গঠনের জন্য খুবুই দরকারী

গুণাগুণঃ


কাকরোল প্রতি গ্রাম খাদ্যে প্রোটিন . গ্রাম, শর্করা . গ্রাম, খনিজ পদার্থ . গ্রাম, চর্বি গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মি.গ্রা, ফসফরাস ৪২ মি.গ্রা, আয়রণ ৪৬ মি.গ্রা এবং ক্যারোটিন ১৬শ২০ মাইক্রোগ্রাম

কাকরোলের প্রয়োজনীয়তাঃ


কাকরোলে ক্যালরির পরিমান খুবুই কমএতে রয়েছে ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন আ্যান্টিঅক্সিডেন্টগর্ভকালীন সময়ে অনেকের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়কাকরোল ভিটামিন বি সি এর ভালো উৎসযা কোষের গঠন নতুন কোষ তৈরী করতে সাহায্য করেফলে স্নায়ুবিক ত্রুটি হয় নাকাকরোলে পর্যাপ্ত পরিমান ফাইটো নিউট্রেয়েন্ট, পলিপেপটিভ পিত্ত উদ্ভিদ ইনসুলিন আছে যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রন করেযকৃৎ, পেশি শরীরের মেদ বহুল অংশে গাইকোজেন সংশেষন করেফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে


কাকরোল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় প্রাকৃতিক আ্যান্টিক্সিডেন্ট রুপে কাজ করেযা শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়এতে আছে বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লিউটেইন যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাত্বককে করে অরণ্যদীপ্তদৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করেজ্বর হলে কাকরোল পাতার রস কিছু সময় সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে পান করুনজ্বর কমে যাবেপাইলসের সমস্যা থাকলে ৫গ্রাম কাকরোল বাটার সঙ্গে ৫গ্রাম চিনি মিশিয়ে দিনে ২বার পান করুন পাইলস নিরাময় হবে

দূর্গন্ধ দূর করতেঃ


ঘামের দূর্গন্ধ দূর করতে কাকরোলের জুড়ি নাইগোসলের সময় কাকরোল বাটা স্রাব হিসাবে গায়ে মাখুন ১০মিনিট শরীর ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলুনএতে দূর্গন্ধ কমে যাবে এবং ত্বক কোমল থাকে

অন্যান্য উপকারিতাঃ


কাশি হলে ৩গ্রাম কাকরোল বাটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করলে কাশি কমে যাবেশ্বাসকষ্ট হলে ২শ৫০ গ্রাম থেকে ৫শ মি.গ্রা কাকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে ১চা চামচ আদার রস ১চামচ মধু মিশিয়ে খান অনেক আরাম পাওয়া যাবেকিডনীতে পাথর হলে ১০গ্রাম কাকরোল বাটা ১গ্লাস দুধে মিশিয়ে খান আরাম পাওয়া যাবে।এভাবে প্রতিদিন পান করুন দ্রুত সেরে যাবে।



                 “সমাপ্ত