মটরশুটির অনেক গুণ
শীতকালচলে এলেই বাজারে নানা রকম সবজীর আনাগোনা শুরু হয়ে যায়।তবে শীতকালে ফুলকপি মটরসুটি, পেঁয়াজকালি, খেয়ে যে আনন্দ, তা অন্য সময় সেই আনন্দ উপভোগ করা যায় কি?শীতকালে
যে সবজী পাওয়া যায়, তা বাজার
দর বেশী হলেও ভোজন রসিকদের তাতে কিছু আসা যায় না।শীতের ঠান্ডা আমেজে গরম গরম গরম খিচুড়ি খেতে খুবু মজা।শুধু খেয়েই সুখ নয়, শুধু এই
সবজীর খাদ্যগুণ ও অপরিসীম।নিম্নে
আলোচনা করব মটরসুটি খাদ্যগুণ নিয়ে
১. বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম মরশুটি থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোক্যালারী শক্তি পাওয়া যায়।কার্বোহাইড্রেট তাকে ১৪.৫গ্রাম
ফ্যাট, ০.৫
গ্রাম ও প্রোটিন পাওয়া
যায় ৫.৪
গ্রাম।এছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ ভিটামিন সি, ফলিক এ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে।সামান্য পরিমানে ভিটামিন কে ও থাকে মটরসুটিতে।
২. ছোট থেকে বড় সকলেরই পছন্দের সবজী হলো এ মটরসুটি।
৩. এই সবজীতে বেশ ভালো পরিমানে তন্ত থাকায় পেট পরিষ্কর রাখতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
৪. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা মটরসুটি কমায়।
৫. আন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এই সবজি দারুন কাজ করে ও শিশুদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. মটরশুটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।এছাড়া শরীরের হাড় শক্ত করতে মটরসুটির কোন জুড়ি নেই।
৭. ফলিক এসিড
থাকায় প্রসুতি মায়েরা মটরসুটি খেতে পারেন।
৮. ত্বকের জন্য মটরসুটি খুব ভালো উপকারী।ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় ও চোখের দৃষ্টিশক্তি
বাড়িয়েতোলে এই মরসুটি
মটরশুটি
কাচা খেতেই পারেনবর্তমানে সমস্ত সবজীতে রাসায়নিক ওষুধ দেওয়া হয়।তাই খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।



No comments:
Post a Comment