তরমুজের কোন অংশই ফেলনা নয়
গ্রীষ্মের একটি বিশেষ ফল তরমুজ।সকলের বিশেষ পছন্দের এ ফলের
বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের মস্তিষ্ক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত।ফালি
করা তরমুজ বা তরমুজের শরবতের রয়েছে বেশ কদর।কোন কোন অঞ্চলে তরমুজের খোসা তরকারি হিসাবে
রান্না করে খাওয়া যায়।কিন্তু তরমুজের বিচি ও যে ভিষণ দরকারী একটি উপকরণ তা অনেকের অজানা।তরমুজের
বিচি ও যে ভিষণ দরকারী একটি উপকরণ তা অনেকের অজানা।তরমুজের বিচি মানব শরীরের জন্য কতটা
উপকারী সে সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলঃ
হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতেঃ
ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর তরমুজের বিচি হৃদপিন্ডকে সচল রাখতে বেশ
কার্যকরী।এটি উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং কার্ডি ও ভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে।এটি হাইপারটেনশন
দূর করতেও বেশ কার্যকর।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনঃ
এক কাপ তরমুজের বিচি পানিতে ফুটিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে
থাকবে।কারণ এই পানীয় রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ত্বক ভালো রাখেঃ
তরমুজের বিচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে।এছাড়া ত্বকে
সরাসরি তরমুজের বিচির তেল লাগালে ব্রনের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যজ্জল চুলের জন্যঃ
তরমুজের বিচিতে রয়েছে প্রচুর প্রচুর প্রোটিন যা চুলের জন্য
অনেক কার্যকারী।তরমুজের বিচি মেলানিন তৈরী করে।তাই তরমুজের বিচি ভাজা পতিদিন খাওয়ার
অভ্যাস করলে চুল সাদা হওয়ার সমস্যা ও দূর হবে।তবে যার বিচির এত গুণ সে ফলের গুণটাও
জেনে নেয়া যাক।
কার্ডিও ভাসকুলার ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃ
তরমুজ আমাদের কার্ডিওভাসকুলার এর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এটি
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।তরমুজ ভাসডিলেশন এর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে।কার্ডিও
ভাসকুলারের সাথে সম্পর্কিত ফাংশন সমূহ উন্নত করে।এটি হাড়ের গঠন শক্ত ও মুজবত করে।তরমুজ
১টি পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।তাই হাড়ের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়র জয়েন্ট
মজবুত করে।
মূত্রবর্ধক এবং কিডনী সুস্থ রাখেঃ
তরমুজ মূত্রপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা একটি প্রাকৃতিক
মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসাবে কাজ করে।তরমুজ কিডনীর জন্য খুব উপকারী ফল।ডাবের পানির যে গুণাগুণ
তরমুজের রয়েছে সে একই গুণ।কিডনীতে পাথর হলে চিকিৎসকরা ডাবের পানি তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ
দিয়ে থাকেন।
চোখ
সুস্থ রাখেঃ
তরমুজ বেটা ক্যারটিনের একটি চমৎকার উৎস।যা চোখের জন্য অত্যন্ত
উপকারী।তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভলো থাকে।এবং চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।বেটা ক্যারোটিন রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিা রাখে।
ওজন
নিয়ন্ত্রনে তরমুজঃ
প্রতিদিন এক টুকরা তরমুজ খেলে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা
চর্বি গঠনে বাধাগ্রস্ত হয়।ফলে হৃদপিন্ডের ঝুকি কমায়।এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রনে তরমুজ বিশেষভাবে
কাজ করে।তরমুজ খাওয়ার কমপক্ষে একঘন্টা পর পানি খেতে হবে।মৃগী, পিত্ত জন্ডিস, মস্তিষ্কের
কোন সমস্যা হলে তরমুজ খাওয়া বেশ উপকারী।
এছাড়াও তরমুজে লাইকোপের নামের এক ধরণের খাদ্য উপাদান রয়েছে
যা অন্ত্রের ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।রক্তবাহী ধমনীকে নমনীয় ও
শীতল রাখে এই ফলটি।লাইকোপিনসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ তরমুজের খাওয়ার অভ্যাসে বার্ধক্য
দেরিতে আসে।তরমুজ খেলে সাধারণত ভাজ বা বলিরেখা পড়ে না।





