Sunday, December 11, 2016

        তরমুজের কোন অংশই ফেলনা নয়

গ্রীষ্মের একটি বিশেষ ফল তরমুজ।সকলের বিশেষ পছন্দের এ ফলের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের মস্তিষ্ক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত।ফালি করা তরমুজ বা তরমুজের শরবতের রয়েছে বেশ কদর।কোন কোন অঞ্চলে তরমুজের খোসা তরকারি হিসাবে রান্না করে খাওয়া যায়।কিন্তু তরমুজের বিচি ও যে ভিষণ দরকারী একটি উপকরণ তা অনেকের অজানা।তরমুজের বিচি ও যে ভিষণ দরকারী একটি উপকরণ তা অনেকের অজানা।তরমুজের বিচি মানব শরীরের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলঃ

হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতেঃ

ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর তরমুজের বিচি হৃদপিন্ডকে সচল রাখতে বেশ কার্যকরী।এটি উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং কার্ডি ও ভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে।এটি হাইপারটেনশন দূর করতেও বেশ কার্যকর।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনঃ

এক কাপ তরমুজের বিচি পানিতে ফুটিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।কারণ এই পানীয় রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

ত্বক ভালো রাখেঃ

তরমুজের বিচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে।এছাড়া ত্বকে সরাসরি তরমুজের বিচির তেল লাগালে ব্রনের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

স্বাস্থ্যজ্জল চুলের জন্যঃ

তরমুজের বিচিতে রয়েছে প্রচুর প্রচুর প্রোটিন যা চুলের জন্য অনেক কার্যকারী।তরমুজের বিচি মেলানিন তৈরী করে।তাই তরমুজের বিচি ভাজা পতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে চুল সাদা হওয়ার সমস্যা ও দূর হবে।তবে যার বিচির এত গুণ সে ফলের গুণটাও জেনে নেয়া যাক।

কার্ডিও ভাসকুলার হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃ

তরমুজ আমাদের কার্ডিওভাসকুলার এর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।তরমুজ ভাসডিলেশন এর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে।কার্ডিও ভাসকুলারের সাথে সম্পর্কিত ফাংশন সমূহ উন্নত করে।এটি হাড়ের গঠন শক্ত ও মুজবত করে।তরমুজ ১টি পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।তাই হাড়ের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়র জয়েন্ট মজবুত করে।

মূত্রবর্ধক এবং কিডনী সুস্থ রাখেঃ

তরমুজ মূত্রপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসাবে কাজ করে।তরমুজ কিডনীর জন্য খুব উপকারী ফল।ডাবের পানির যে গুণাগুণ তরমুজের রয়েছে সে একই গুণ।কিডনীতে পাথর হলে চিকিৎসকরা ডাবের পানি তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চোখ সুস্থ রাখেঃ

তরমুজ বেটা ক্যারটিনের একটি চমৎকার উৎস।যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভলো থাকে।এবং চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।বেটা ক্যারোটিন রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিা রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে তরমুজঃ

প্রতিদিন এক টুকরা তরমুজ খেলে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা চর্বি গঠনে বাধাগ্রস্ত হয়।ফলে হৃদপিন্ডের ঝুকি কমায়।এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রনে তরমুজ বিশেষভাবে কাজ করে।তরমুজ খাওয়ার কমপক্ষে একঘন্টা পর পানি খেতে হবে।মৃগী, পিত্ত জন্ডিস, মস্তিষ্কের কোন সমস্যা হলে তরমুজ খাওয়া বেশ উপকারী।
এছাড়াও তরমুজে লাইকোপের নামের এক ধরণের খাদ্য উপাদান রয়েছে যা অন্ত্রের ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।রক্তবাহী ধমনীকে নমনীয় ও শীতল রাখে এই ফলটি।লাইকোপিনসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ তরমুজের খাওয়ার অভ্যাসে বার্ধক্য দেরিতে আসে।তরমুজ খেলে সাধারণত ভাজ বা বলিরেখা পড়ে না।



                    “সমাপ্ত

Saturday, December 10, 2016

            মটরশুটির অনেক গুণ


শীতকালচলে এলেই বাজারে নানা রকম সবজীর আনাগোনা শুরু হয়ে যায়তবে শীতকালে ফুলকপি মটরসুটি, পেঁয়াজকালি, খেয়ে যে আনন্দ, তা অন্য সময় সেই আনন্দ উপভোগ করা যায় কি?শীতকালে যে সবজী পাওয়া যায়, তা বাজার দর বেশী হলেও ভোজন রসিকদের তাতে কিছু আসা যায় নাশীতের ঠান্ডা আমেজে গরম গরম গরম খিচুড়ি খেতে খুবু মজাশুধু খেয়েই সুখ নয়, শুধু এই সবজীর খাদ্যগুণ অপরিসীমনিম্নে আলোচনা করব মটরসুটি খাদ্যগুণ নিয়ে
. বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম মরশুটি থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোক্যালারী শক্তি পাওয়া যায়কার্বোহাইড্রেট তাকে ১৪.৫গ্রাম ফ্যাট, . গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় . গ্রামএছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ ভিটামিন সি, ফলিক এ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন ভিটামিন , ফসফরাস, জিঙ্ক ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকেসামান্য পরিমানে ভিটামিন কে থাকে মটরসুটিতে
. ছোট থেকে বড় সকলেরই পছন্দের সবজী হলো মটরসুটি
. এই সবজীতে বেশ ভালো পরিমানে তন্ত থাকায় পেট পরিষ্কর রাখতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে
. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা মটরসুটি কমায়
. আন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এই সবজি দারুন কাজ করে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
. মটরশুটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেনএছাড়া শরীরের হাড় শক্ত করতে মটরসুটির কোন জুড়ি নেই
. ফলিক এসিড থাকায় প্রসুতি মায়েরা মটরসুটি খেতে পারেন
. ত্বকের জন্য মটরসুটি খুব ভালো উপকারীত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়েতোলে এই মরসুটি
মটরশুটি কাচা খেতেই পারেনবর্তমানে সমস্ত সবজীতে রাসায়নিক ওষুধ দেওয়া হয়তাই খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে


যে কোন তরকারী রান্না করার সময় তরকারী মধ্যে মটরসুটি দিয়ে খেতে পারেনএতে তকারর স্বাদ বেড়ে যায়তাই এক কথায় বলা যায় মটরসুটির কোন জুড়ি নেইবেশী বেশী করে সবজী খান, সুস্থ থাকুন, পরকে খাওয়ার পরামর্শ দিন

                  


                     “সমাপ্ত

Friday, July 22, 2016


               নিম পাতার ঔষধি গুণাগুণ


আমরা জানব ঔষুধী গাছ হিসাবে নিম গাছের ঔষধী গুণাগুণ।কেননা নিমের ফুল, পাতা, বাকল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১’শ রোগের চিকিৎসা করা যায়।

ম্যালেরিয়াঃ

নিম পাতার নির্যাস ব্যবহার করে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়।পানি বা এলকোহল নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরণের ফল খাওয়া যায়।

মানসিক চাপ ও অশান্তিঃ

অল্প পরিমান নিম পাতার নির্যাস খেলে মানসিক চাপ ও অশান্তি কমে যায়।

এইডসঃ

নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম।নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা বা নিম পাতা চা পান করলে এইডস উপশম হয়।

আলসারঃ

নিম পাতার নির্যাস ও নিম বীজ হতে নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়।

ব্রনঃ

নিম পাতা পেষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রন সেরে যায়।

জন্ডিসঃ

২৫-৩০ ফোটা নিম পাতার রস মধুর সাথে খেলে সকালে খালি পেটে জন্ডিস আরাগ্য হয়।

বহুমূত্র রোগঃ

প্রতিদিন ১টেবিল চামচ নিম পাতার রস সকালে খালি পেটে ৩মাস খেলে ডায়াবেটিস আরাগ্য হয়।প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা গুড়ো বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়াবেটিস ভালো হয়।নিম পাতার রস খেলে শতকরা ৩০-৭০ ভাগ ইনসুলিন নেয়ার প্রবনতা কমে যায়।

রাতকানাঃ

নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম হয়।

চোখের ব্যাথাঃ

নিম পাতা সামান্য শুষ্ক আদা ও লবণ পিষে সামান্য গরম করে একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড় লাগিয়ে তা দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীত ব্যাথা সেরে যায়।

লাল মেহ রোগঃ

নিম মূলের ছালের রস ও কাচা দুধ মিশিয়ে কিছুদিন খেলে লাল মেহ রোগ উপশম হয়।

মাথাধরাঃ

নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।

ক্যান্সারঃ

নিম তেল, বাকল ও পাতা নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার টিউমার, স্কীন ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ ভালো হয়।

উকুনঃ

নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন সব মারা যায়।

হৃদরোগঃ

নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়।নিমের নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমায়।রক্ত পাতলা করে হার্টবিট কমায়।

কৃমি নিরসনঃ

৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমান সন্ধব লবনসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়।নিয়মিত ১সপ্তাহ সেবন করে গেলে কৃমির কোন যন্ত্রনায় পোহাতে হবে না বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

রক্ত পরিষ্কার চর্ম রোগঃ

কাঁচা নিম পাতা ১০গ্রাম ২কাপ পানিতে জাল করে ১কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেকে নিয়ে প্রয়জনমত চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।এ নিয়মে প্রত্যেক দিন ২-৩বার, নিয়মিত ১-২মাস সেবন করে যেতে হবে।তাতা উপশম হবে।

দাঁতের যত্নঃ

কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে।নিম পাওডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।নিম পাতার নির্যাস পানিতে মিশিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমন, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ি ব্যাথা কমে যায়।

স্বপ্ন দোষ প্রশমনঃ

নিমের ছালের রস ১-২ চা চামচ ১গ্লাস রিমান গরুর দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় সেবন করলে স্বপ্নদোষ প্রশমিত হয়।

খোশ পাঁচড়া পুরানো ক্ষতঃ

নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে আক্রান্ত স্থানে ৭-৮দিন প্রলেপ দিলে খোশ পাঁচড়া ও পুরানো ক্ষতের উপশম হয়।নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

বমিঃ

বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬ ফোটা দুধ দিয়ে খেলে অতিসত্বর উপশম হয়।



                “সমাপ্ত”