Tuesday, November 10, 2015


আনারস সম্পর্কে কিছু জানার

Farhan's Roof Top Garden




আমাদের দেশে বেশ তুলনামূলক সস্তা দামে র একটি ফল আনারস।এতে আছে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।এর বৈঞ্জানিক নাম আনানাস স্যাটিভাস।পৃথিবীতে প্রায় ৯৫ প্রজাতির চাষ হয়।

খনিজলবণঃ 
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজলবণ থাকে।এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ,সি,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস এবং পটাসিয়াম।আনারস একটি আঁশযুক্ত ফল।যা থেকে প্রয়োজনীয় আঁশ ফাইবার বা ক্যালারী পাওয়া যায়।আনারসে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম।তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আনারস খুবই উপকারী।

ঠান্ডা ও কাঁশি প্রতিরোধ করেঃ 
আনারসে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশী থাকায় এটি ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে।যদি ঠান্ডা ও কাশি বেশী হয় তাহলে ডাক্তারের ওষুধের পাশাপাশি আনারস খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

হাঁড় মজবুত রাখেঃ 
হাড় গঠন ও সবল রাখার জন্য আনারসে অনেক সুনাম রয়েছে।কারণ হাড় ও কোষের টিস্যু বা কোষকলা গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায় আনারসে।যদি নিয়মিত ১কাপ পরিমাণ আনারস খাওয়া যায় তবে তা থেকে দেহের প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজের ৭৩ শতাংশ পাওয়া যায়।
দাঁত ও মাড়ির সুস্থতাঃ 
দাঁত দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ মাড়ির দুর্বলতা।দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।কারণ আনারস দাঁত মজবুত করে।ওমাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আর্থ্রাইটিস দূর করেঃ 

আনারস গেঁটে বত এর ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।পাশাপাশি হাড় ও সুস্থ রাখে।

হজমে সাহায্য করে আনারসঃ 
আনারসে ব্রোমেলেইন হজমে সাহায্যকারী বিভিন্ন রসকে অ্যাসেডিক হতে দেয় না।তাছাড়া আনারসে প্রোটিন পরিপাকের উপাদান থাকে যা দেহের হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করে।তাই বদহজে সমস্যা থাকলে আনারস খেলেউপকার পায়া যায়।

পার্শ্বপতিক্রয়াঃ 
আনারস আর্কষণীয় ও মধুর স্বাদের জন্য অনেকেরকাছে সমাদৃত।কিন্তু এ ফলটি সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।এতে রয়েছে বেশ কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া।
এলার্জির সমস্যাঃ আনারস সবার জন্য ঠিক স্যুট করে না।অনেকের-ই আনারস খেলে হতে পারে এলার্জির সমস্যা।ফলে বিভিন্ন ধরণের চুলকানি হতে পারে।তাই যাদের আনারস খেলে এ সকল সমস্যায় ভোগেন তারা অবশ্যই আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।


ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়ঃ 
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি।আনারসে ২টি উপাদান সুক্রোজ ও ফ্রুটোজ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।কিন্তু দেহের ক্ষতি এটা খাওয়ার পর নির্ভর করে।আনারসে অতারিক্ত চিনি আমাদের শরীরের রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।তাই আনারস বেশী না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারবেন।

ফুড ট্যাবু হতে পারে আনারসেঃ 
আনারস এসিডিক।খালি পেটে আনারস খেলে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হয়।কোন গ্যাস্ট্রিক রোগীর খালী পেটে আনারস সাথে দুধ খাওয়ার ফলে এই ফুড ট্যাবু এর উদ্ভব হতে পারে।

দাঁতের জন্য ক্ষতিকরঃ 



আনারস আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।যাদের দাঁতে কেভেটিস ও জিংজাইভেটিস এর সমস্যা এর সমস্যা আছে তাদের আনারস ন খাওয়াই ভালো।

ওষুধের প্রতিক্রিয়াঃ 
আনারসে আছে ব্রমি লেইন যা দিয়ে ঔষধ বানানো হয়।এবং কোন রোগীর প্রয়োজনে তাকে তা দেওয়া হয়।তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টবায়টিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তার নিষেধ করে থাকেন।কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

কাঁচা আনারসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ 
অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যাবহার করে থাকেন জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিশাক্ত।মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবণতা দেখা দেয়।

মুখ ও গলার জন্য ক্ষতিকরঃ 
কাঁচা আনারসে আছে অনেক বেশী পরিমাণ এসিডিট।যা আমাদের মুখের ও গলার শেস্মা তৈরী করে।

রক্ত জমাট বাঁধায় বাঁধা সৃষ্টি করেঃ 
রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।এর ফলে দেহে রক্ত জমাট বাঁধায় প্রক্রিয়াকে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

আনারসে ব্রমিলেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ 
ব্রমিলেইন আনারসের একটি উপাদান যা আমাদের দেহের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট করতে দ্বায়ী থাকেন।এই ফল ডায়াবেটিস ও এলার্জী সংক্রমন করে।


          

               “সমাপ্ত”